বুধবার   ১৫ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

পুলিশের সহযোগিতা পায় না ফতুল্লার জনগণ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪  


# ওসির আন্তরিকতা সত্ত্বেও যে কারণে সর্বত্র বাড়ছে মাদকসন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতা
পুলিশের আন্তরিক সহযোগীতা পায় না ফতুল্লা থানা এলাকার জনগণ। বিশেষ করে এসআই এবং এএসআইগন টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না বলে থানা এলাকার সর্বত্র জোরালো ভাবে অভিযোগ উঠেছে। ফতুল্লা থানা এলাকার একজন ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করা শর্তে উক্ত থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন।

 

 

তিনি বলেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিছুটা পেশাদার হলেও তার অধিনস্ত পুলিশ সদস্যরা তার কমান্ড মানেন না। তাদের অনেকে নিজেকে কেউ আইজির লোক, কেউ ডিআইজির লোক, আবার কেউ পুলিশ সুপারের লোক পরিচয় দেন। ওই চেয়ারম্যান আরো বলেন, পুলিশের অসহযোগীতার কারণে তার এলাকায় এখন সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা এবং ভূমিদস্যুতা বেড়ে চলেছে।

 

 

ভূক্তভোগী কেউ থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয় না। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ পত্রের পেছনে একজন এসআই বা এএসআই এর নাম ও মোবাইল নাম্বার লিখে দেয়া হয়। তখন অসহায় ভূক্তভোগী ব্যাক্তি ওই নাম্বারে ফোন দিলেও পুলিশ ঘটনা স্থলে যেতে গড়িমশি শুরু করে।

 

 

তারপর তার সাথে দেখা করে তার চাহিদা মোতাবেক খরচ (টাকা) দিলে তারপর তিনি ঘটনাস্থলে যান। এরপর ওই অফিসার দুই পক্ষের কাছ থেকেই টাকা পয়সা খাওয়ার ধান্ধায় লিপ্ত হয়ে পরেন। এতে অপরাধীরা পার পেয়ে যায় এবং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় এলাকায় অপরাধ বেড়েই চলেছে। মানুষ বাধ্য হয়ে তার কাছে (চেয়ারম্যানের) কাছে যাচ্ছে।

 

 

কিন্তু তিনি সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারছেন না। কারণ অপরাধীরা তাকে মানেন না। মূলত এভাবেই পুলিশ সদস্যদের কারনে ফতুল্লা থানার সর্বত্র অপরাধ বেড়েই চলেছে। তিনি আরো বলেন, এক সময় পুলিশ বিনা প্রশ্নে সাধারণ ডায়েরী গ্রহন করতো। কিন্তু আজকাল এই থানায় সাধারন ডায়েরী গ্রহণ করতেও গড়িমসি করা হচ্ছে।

 

 

তবে টাকা দিলে বা প্রভাবশালী কেউ তৎবির করলে সাধারন ডায়েরী গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত এভাবেই এখন ফতুল্লা থানা পুলিশের ব্যার্থতার কারণে সন্ত্রাস মাদক ভূমি দস্যুতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে ওই চেয়ারম্যান দাবি করেন। তবে তিনি মনে করেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব নিরঙ্কুশ ভাবে পালন করতে দিলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। কারন তিনি কিছুটা আন্তরিক। কিন্তু অসহায়।

 


এদিকে এই থানা সম্পর্কে স্থানীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে এমপি নিজেও থানার সার্বিক কার্যক্রমে নিজের লোকদের কাছে হতাশা প্রকাশ করছেন। কারণ তিনি নির্বাচনের আগে মাদক সন্ত্রাস ও ভূমিদুস্যমুক্ত এলাকা গঠনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা মোটেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

 

 

বরং দিন দিন অপরাধ আরো বেড়েই চলেছে। তবে তিনিও বর্তমান ওসির প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ওসিকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও মতামত ব্যাক্ত করেছেন।

 


এব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া জানান, কোন ভুক্তভোগী যদি এবিষয়ে আমাকে সরাসরি জানায়, তাহলে আমি অবশ্যই এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি জনগণের প্রতি আহবান জানাবো, এই ধরণের কোন অভিযোগ থাকলে তা যেন আমাকে অবশ্যই জানান।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি