শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

না.গঞ্জে বিএনপির সকল নেতারা প্রশ্নবিদ্ধ

এম মাহমুদ

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় যাদেরকে শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলা হয়ে থাকে পাশাপাশি যাদের পদধূলিতে রাজপথে নেতাকর্মীদের জনস্রোত সৃষ্ট হয় তাদের নেতৃত্বের অবহেলায় এখন তারা প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ এক দফা দাবি আদায়ে লক্ষ্যে বিএনপির লাগাতার হরতাল অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি ছিল।

 

কিন্তু সে সকল কর্মসূচিতে তাদের পদধূলি রাজপথে নেই বললেই চলে। তবে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দু একটি কর্মসূচিতে তাদের পক্ষে হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি পালন করিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও নেতাকর্মীরা তাদের কান্ডে ঠিকই ফুঁসেছে। যার কারণে এসকল বিএনপির নেতাদের দিকে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

 

দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির সুবাতাস বইলেই দেখা মিলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় বেশকয়েকজন নেতার। এছাড়া সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে রাজপথে দেখা মিলে বিএনপির দুঃসময় চলে আসলেই রাজনৈতিক ময়দান থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নেন। আর এসকল নেতারা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর।

 

সূত্র মতে, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান নিজেকে সারা বছরই বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশাল শোডাউন করে অনেক প্রভাবশালী নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় পদ পদবী ভাগিয়ে পদে দায়িত্ব পালনে গড়িমসি দলের কমিটি অনুমোদনেও কুটকৌশল খেলা শুরু করে দেন। তবে দলীয় কঠোর কর্মসূচি এক দফা দাবি আদায়ের হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে তার পা আর রাজপথে পড়েনি। যার কারণে তার দেয়া নেতৃত্ব অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।

 

কারণ তিনি বিএনপির সুসময়ে তর্জন গর্জন দেখালেও দুঃসময় আসলেই নেতিয়ে পড়েন। এছাড়া নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া বিএনপির কর্মসূচিতে বিশাল বিশাল শোডাউন করে নেতাকর্মীদের তার নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট করে জেলা বিএনপি থেকে শুরু করে সহযোগী অঙ্গসংগঠনের কমিটি নিজ নিয়ন্ত্রেণের চেষ্টা করে অনেকটা সফল হলেও দলীয় কঠোর কর্মসূচিতে তার সেই নিয়ন্ত্রণ কাজে আসেনি।

 

কারণ হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়াই রাজপথে ছিলেন লাপাত্তা তার সমর্থকরাও তার সাথে তাল মিলিয়ে লাপাত্তা ছিলেন। এছাড়া রূপগঞ্জের আরেক নেতা নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান নির্বাচনী বছর আসলেই বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় হন। সারাবছরই থাকেন দলীয় কর্মসূচিতে থাকেন অনুউপস্থিত। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান কাজী মনিরুজ্জামান সেই নিরর্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হলে তাকে আর বিএনপির রাজনীতিতে দেখাই যায়নি।

 

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী বছর হিসেবে পূণরায় তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে না তথা এক দফা দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবে হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি দেন। কিন্তু সেসকল কর্মসূচি দেয়ার পর থেকেই কাজী মনিরুজ্জামান রাজপথ থেকে উধাও হয়ে যান।

 

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর নাম কোয়াস্তে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন। কারণ নির্বাচন আসলেই বিএনপির রাজনীতিতে তার দেখা মিলে দলীয় কর্মসূচিতে নাম কোয়াস্তে যোগদান করেন। কিন্তু পূর্বের ন্যায় এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপি হরতাল অবরোধের মত কঠোর আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর থেকেই আাতাউর রহমান আঙ্গুর ফের রাজপথ থেকে হারিয়ে যান। হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে একদিনও তিনি কর্মসূচি পালন করেননি তার সমর্থকরা রাজপথে ছিলেন না। যার কারণে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে এসকল নেতাদের রাজনীতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর