শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশ’

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

 

# সবচেয়ে দূর্বল ফতুল্লার ইউপি আ.লীগ

 

 

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন উত্তর-দক্ষিণ মেরুতে বিভক্ত থাকলেও এখন দুই মেরুতে ঐক্যের বাতাস বইছে। তবে জেলার শীর্ষ দুই মেরু ঐক্য থাকলেও তৃনমুল পর্যায়ে নিরব ভাবে বিভক্ত রয়েছে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে। কিন্তু তৃনমূল নেতা কর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে মিলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

তবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে শহরের উত্তর দক্ষিন মেরুর মাঝে ঐক্য তৈরী হয়েছে। যদিও এই দুই মেরুর মাঝে এক সময় চরম শত্রুতা ছিল। ২০২২ সনের নাসিক নির্বাচনের সময় সাংসদ শামীম ওসমান মেয়র আইভীর মাঝে দুরত্ব ছিল। তখন শামীম ওসমান চান নাই মেয়র আইভলী নৌকার মনোনীত হোক। তবে সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে দুজনে এক টেবিলে বসে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে চান। যা ইতোমধ্যে তারা সেই দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে।

 

এদিকে নির্বাচনের পরে গতকাল শনিবার তৃণমূল উপজেলা, থানা, জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বর্ধিত সভা করা হয়। এই বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলকে সু সংগঠিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই সাথে দলের নেতা কর্মীদের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

 

দলীয় একাধিক সুত্রমতে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রী বা দলীয় নেতারা কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারবেন না। কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। যদিও নির্বাচন আইন অনুযায়ী এমপি-মন্ত্রীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারেন না।

 

কিন্তু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন যে, এমপিরা প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করলেও গোপনে গোপনে তারা তাদের নিজস্ব প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। এটা যেন না করা হয়, তার সত্যিকার অর্থেই যেন উপজেলা নির্বাচনটি উন্মুক্ত হয় সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখার জন্য আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

 

জেলার যে সমস্ত জায়গায় সম্মেলন হয়নি সেখান থেকে সম্মেলন শুরু করে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সম্মেলন সমাপ্ত করা, উপজেলা সম্মেলন সমাপ্ত করার জন্য একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সাংগঠনিক ভাবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কমিটি থাকলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে দীর্ঘ দিনের কমিটি নেই। গত বছর সম্মেলন করার নির্দেশনা থাকলেও তা করা হয় নাই। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর, ফতুল্লা ইউপি, কুতুবপুর এবং বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিি হচ্ছে না।

 

তার মাঝে বক্তাবলীতে এক বছরের বেশি সময় ধরে কোন কমিটি নেই। কবে নাগাত কমিটি হবে তা জানেন না স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক ভাবে দল দুর্বল হচ্ছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে নির্বাচনের সময়।

 

জানা যায়, ফতুল্লা থানার ইউনিয়ন গুলোতে কমিটি না থাকায় সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে পুরো জেলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান ৩১ পার্সেন্ট ভোট পেয়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন তিনিই। তার নির্বাচনী এলাকায় ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে রয়েছে। সিদ্বিরগঞ্জের ১০ টি ওয়ার্ডে কমিটি নেই। সিটি করপোরেশনের ১৭ টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করলেও সিদ্ধিরগঞ্জে করা হচ্ছে না। আর এতে কমিটি না থাকায় দলীয় ভাবে সাংগঠনিক দুর্বল হয়ে রয়েছে।

 

তবে নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সংগঠিত থাকায় সেখানে ভোটের মাঠেও নৌকার প্রার্থীরা তুলনামুলক ভাবে ভালো করেছে। এ বিষেয় ফতুৃল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নাই। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর