রোববার   ১৯ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

গালি দিয়ে আ.লীগের ভোট চান মুকুল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

 

 

বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান বিএনপির বহিস্কৃত বিতর্কিত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগসহ বিএনপির নেতাকর্মীদো ক্ষোভ প্রকাশ পাওয়া গেছে। এদিকে এই মুকুলকে বন্দরবাসী থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গরা স্বার্থপর নেতা হিসেবেই পরিচিতি দিয়েছে।

 

কারণ উনার যখন যা লাভ হবে তিনি তখনই সেখানে। একবার বিএনপি আবার স্বার্থে আঘাত লাগলে আওয়ামী লীগ ও হতে দেখা গেছে এই মুকলকে। বর্তমানে তিনি তার চরিত্রের বহিপ্রকাশের চিত্র ইতিমধ্যে লক্ষ্য করছেন সকলেই তিনি বংশগতভাবে বিএনপির সাথে জড়িত থাকলে ও উনি শুধু স্বার্থ হাসিলেই ব্যস্ত থাকেন।

 

গত (৫ মে রবিবার) বন্দর উপজেলার আওতাধীন মদনপুর ইউনিয়নে চিংড়ি প্রতীক নিয়ে গণসংযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল তারই প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রশীদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রশীদ সাহেব আপনি বলেছেন আমি নাকি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুটুক্তি করেছি। এমন কোন কিছু দেখাতে পারবেন আমি কোথায় কি করেছি, পারবেন না সেগুলো আপনারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এডিট করে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ চাপিয়ে দিচ্ছেন।


আওয়ামী লীগ নেতাদের মন জয় করতে তিনি আরো বলেন, আজকে ৩০ বছর যাবৎ বঙ্গবন্ধুর সকল মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার নিজস্ব অর্থে সহযোগীতা থাকে। এ ছাড়া ও বিভিন্ন স্থানে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে ও খিচুরী বিতরণ করে থাকি। আর এটা আমি সব সময় করে আসছি, সামনে ও বঙ্গবন্ধুর জন্য এমন কার্যক্রম অবহৃত থাকবে, কারণ বঙ্গবন্ধু সবার।

 

তিনি আরো বলেন, আমি যদি বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন কুটুক্তি করতাম তাহলে কিন্তু বিএনপি আমাকে বহিস্কার করতো না। আমি যেহেতু এই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি যার কারণে আমি বহিস্কার হয়েছি।


বিএনপি নেতাদের ভোট পেতে তিনি কৌশলে বলেন, আমি বহিস্কার হলে ও আমার সাথে বিগত দিনের বিএনপির লোজকন আমাকে ছেড়ে যায়নি, তারা সকলেই আমার সাথে আছে। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সেক্রেটারী থেকে শুরু করে সকল কর্মীরা এখনে আমাকে সমর্থন দেয় ও আমার সাথেই আছে।


এদিকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক বিএনপিতে আছে তারা আমার সাথে নেই কিন্তু বাকি সকলেই আমার পাশে আছেন। সর্বশেষ তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন., দুই ট্রামে আমরা মদনপুরবাসী সকল সময় আমার পাশে ছিলেন এবং ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করেছিলেন।

 

এবার ও মদনপুরের ৯টি কেন্দ্রে চিংড়ির জয়ের শ্লোগানের দেখা মিলবে। যারা আজকে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, যারা চাচ্ছেন কেউ সিল মেরে ভোট পাওয়ার জন্য, কেউ চাচ্ছেন টাকা দিয়ে ভোট কিনার জন্য, আর  আমি ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে ভোট পেতে চাই। আমি ভোটারদের ভালোবাসা দিয়ে জয়ী হতে চাই, আমি প্রেশীশক্তি ব্যাবহার করতে চাই না।


এদিকে এর আগে গত ২০২৩ সালের (৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চারারগোপ এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে একটি বক্তৃতায় আতাউর রহমান মুকুল মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান নাই। মিথ্যাচার করে জিয়াউর রহমানের নামকে মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে দেশে জিয়াউর রহমানের কোন নাম না থাকে। কারন এই দেশে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে জিয়াউর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হলো জিয়াউর রহমান। তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

 

তারা যদি মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষের শক্তি হতো তারা ক্ষমতায় ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করে নাই। আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় খুলেছি। আমরা সমরক্ষেত্র, বিভিন্ন জায়গায় বিজয়স্তম্ভ, স্মৃতি স্তম্ভ সমস্ত কিছু বিএনপি সরকার করেছে খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান সরকার করেছে। কিন্তু এই দেশে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান নাই। আওয়ামী লীগের নেতারা বড় বড় কথা বলে। আমার নবীগঞ্জে বাড়ি।

 

সেখানে যারা আওয়ামী লীগ করতো তারা একজনও মুক্তিযুদ্ধে যায় নাই। কেউ বলতে পারবে না। মুরুব্বিরা বলতে পারবে কারা কারা তখন আওয়ামী লীগ করেছে। তারা নাকি সংগঠক মুক্তিযুদ্ধের, এই মিথ্যাচার করে আর কতদিন পাবলিককে বোকা দিবে। আর পারবেনা। এইবার এই সরকারকে পতন করে ছাড়বো।


পরবর্তীতে ২০২৩ সালের (১৮ অক্টোবর) ঢাকা বিএনপির মহাসমাবেশে গিয়ে বহিস্কৃত এই নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে বলে ছিলেন, শেখ হাসিনা আপনিও সাবধান থাকেন। কত দুর্নীতি করেছেন আপনি আপনার পুরো ফ্যামিলি এগুলো আপনি সব জানেন। এগুলো হিসাব আপনাকে দিতে হবে। তখন আর হিসাব দিতে পারবেন না। তখন বুঝবেন ক্ষমতা কি জিনিস আর ক্ষমতা হারালে কি জিনিস।

 

ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আপনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। আপনি যেন তেন বক্তব্য দেন। যে বক্তব্য নাকি উচ্ছৃঙ্খল মহিলা সেরকম বক্তব্য দেয়। আমাদের নেত্রীর কথাবার্তার শালিনতা আছে। উনি একজন দেশপ্রেমী নেত্রী। যার দ্বারা এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। এই ধরনের বক্তব্যে দফায় দফায় দিয়ে ও বর্তমানে চেয়ারম্যান হওয়ার লোভে পরে তিনি সব অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের কাছে ভালো সাজতে এসেছেন।

এই বিভাগের আরো খবর