শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

চায়ের দোকানে নেতাদের চরিত্র সার্জারি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪  

 

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থী কে কত জনপ্রিয় তা জানা যাবে নির্বাচনে জয় পরাজয়ের পর। চায়ের দোকানে এমন নানা আলোচনা সমালোচনার কথা শোনা যায়। তাদের দাবি আসলে সোনারগাঁ উপজেলায় জনগনের পছন্দের নেতাই নাই। এখন যারা নির্বাচন করছেন তারা জনগনের মন মেজাজ বুঝবে না। তাদের কাজ ধান্দা করা। টাকা কামানো, চাদাবাজি করা, নিজেদের পকেট ভরপুর করা। টাকা দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করা। সন্ত্রাস, বালু খেকো তৈরি, জমি দখলবাজ, মাদক কারবারি, টেন্ডারবাজ, খুনি সৃষ্টি করা।

 

এখন জনগণের নেতা মোশাররফ চেয়ারম্যান নাই। যে জনগন বিচার নিয়ে গেলে ন্যায় বিচার পাবে। ডেকে নিয়ে কাছে বসিয়ে সান্ত্বনার বাণী শোনাবে। মন্দের ভালো এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াও এবার নির্বাচনে নাই। যাকে আমেরিকা থেকে ডেকে এনে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। তাকে অনেকে পাঁচশো টাকার উকিল বলে। কারণ তিনি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করতেন না। কারো উপকার পারলে করেন না পারলে কারো ক্ষতি তিনি করেন না। যারা এবার প্রার্থী সবাই একই খারাপ  স্বভাবের লোক। কারো মধ্যে তেমন ভালো গুন নেই।

 

মাহফুজুর রহমান কালাম, তিনি তিন তিন বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে পরাজিত। দলের সাথে বেইমানি করার জন্য দল থেকে একাধিকবার বহিষ্কার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে পায়ে পরে আবার দলে ভীড়েছেন। তিনি ক্ষুধার্ত বাঘ। কাছে যা পাবে তাই লুফে নিবেন। চোর ডাকাত, মাদক কারবারী তার কাছে বেশি সুবিধা পাবে জনগনের কোন লাভ হবে না। তিনি চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অবস্থা খুব খারাপ হবে। অনেক চেয়ারম্যান পরিষদেই আসতে পারবে না। সোনারগাঁয়ের চাঁদাবাজির সকল সেক্টর তার হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

 

বাবুল ওমর তো চাঁদাবাজি দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত। আর তার যত টাকা পয়সা ও ক্ষমতা বলেন সবই চাঁদাবাজির টাকায়ই। তবে তিনি চেয়ারম্যান হলে শুধু কাঁচপুর এলাকায়ই চাঁদাবাজিতে সীমাবদ্ধ থাকবেন এ কথা হলফ করে বলা যায় না। নির্বাচন করার জন্য কাকে কেমন করে ম্যানেজ করতে হয়, তিনি তা জানেন। সেখানে যাকে যেটা দিতে হয় তাকে সেটাই দিয়ে তিনি মাঠ গরম করে রেখেছেন। যিনি কাঁটা খান তাকে কাঁটা, যিনি হাড় বা হাড্ডি খান তাকে হাড্ডি দিয়ে ম্যানেজ করছেন। টাকা পয়সা, ক্ষমতা দিয়ে হলেও এভাবে ম্যানেজ করে তার দাবি আদায়ে তিনি ব্যস্ত। কাকে পায়ে ধরা লাগবে, তাকে তিনি পায়েই ধরছেন। তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সকল পথ অবলম্বন করছেন তিনি।

 

রফিকুল ইসলাম নান্নু, তার কথা বলতে গিয়ে সমসুরে বলে উঠলেন, আরে হয়তো একটা জিনিস, চৌদ্দবার হজ্ব করলেও সে মানুষ হবে না। সে যুবলীগের সভাপতি হয়ে সোনারগাঁয়ে খুনি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক কারবারিদের ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বানাইছে। নিজে একটা টেন্ডারবাজ, ফখরবাজ, সে ফুটপাতে বসা, ওভার ব্রীজে বসা ফকিন্নিদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজি করে। তাকে জনগন ভোট দিবে কি মরতে। তাকে ভোট দেওয়া আর কুকুরের গলায় মালা পড়ানো একই কথা।

 

আরেকজন বলেন, আরে অয় তো সোনারগাঁয়ের রয়েলে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সাথে যে ব্যবহার করেছে। সে আবার চেয়ারম্যান হতে চায়। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও তার নেই। বেছে বেছে হুজুরদের সে মামলা দিযেছে। টাকার জন্য সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে মামলা দিয়ে। তার সাথে অমিল হওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জামাত বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মসজিদের ঈমামদেরকে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করছে। সে ক্ষমতার জোরে টেন্ডারবাজি করে ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা ঘাটের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। সে সব স্থাপনা অল্প দিন পরেই ধ্বসে গেছে। মেনিখালি ব্রীজের উপর দুটি সেতু তৈরি করে সে নদীকে বালি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। ওই নদীতে এখন নৌকা চলে না।

 

আলি হায়দার, তিনি শিক্ষিত চাঁদাবাজ। তাকে কেউ এমনি ধরতে পারবে না। তার মতো ভালো লোক এ পৃথিবীতে দ্বিতীয় জন নাই। তার কাজ নাই, চাকরি নাই, তিনি কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তার কাজ বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করা। সে টাকার জন্যই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নয়। কিছু টাকা পেলে সে বসে যাবে। এটা তার সিজনাল ব্যবসা। তিনি কোম্পানি, ফ্যাক্টরির মালিকদের ফাঁদে ফেলে চাঁদাবাজি করেন। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর