বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না এমএ রশিদের

লতিফ রানা

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪  

 

# সালাম কিংবা কাজিমকে প্রার্থী হওয়ার জন্য বলেছিলাম : এমএ রশিদ

 

বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্রত্যেক প্রার্থীই তাদের সাধ্যমতো প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা খুবই জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন চোখে পড়ছে বিভিন্ন প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প। সেখানে প্রার্থীদের সমর্থকদের আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া।

 

তবে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের জন্য চারজন বৈধ প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ রশিদের দোয়াত কলম, জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেনের আনারস এবং বিএনপির সাবেক নেতা আতাউর রহমান মুকুলের চিংড়ি প্রতীকের প্রচারণাই বেশি চোখে পড়ছে বলে জানান তারা। অন্যদিকে মাকসুদ হোসেনের পুত্র মাহমুদুল হাসান শুভ’র প্রতীক হেলিকপ্টারের কোন প্রচারণা নেই বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে এবারের উপজেলা নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে ছিল না বলে জানিয়েছেন এমএ রশিদ।

 

স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম কিংবা বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে প্রয়াত) কাজিম উদ্দিন প্রধানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন তিনি। তবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের আহবানেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

অন্যদিকে বন্দরে এক মতবিনিময় সভায় এমপি সেলিম ওসমানও জানিয়েছেন যে, ইউপি চেয়ারম্যান সালাম ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে এবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করার সুপারিশ করেছেন এবং বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

একই সাথে এমএ রশিদ নির্বাচিত হলে এমপি সেলিম ওসমান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ জুটি মিলে এলাকার বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এমএ রশিদের জয় নিশ্চিত করার জন্য এমপি সে সময় তারই দুই আশির্বাদপুষ্ট ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত প্রার্থী মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য বলেন।

 

তবে তারা দুইজনই বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে আছেন এবং সমান দমেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাই আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এমএ রশিদের দোয়াত কলম, মাকসুদ হোসেনের আনারস এবং আতাউর রহমান মুকুলের চিংড়ি প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মী, ভোটারসহ সাধারণ জনগণ।

 

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ওয়ান পার্সেন্টও পসিবিলিটি ছিল না উল্লেখ করে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমি এমপি সাহেবকে (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানকে) অনুরোধ করে বললাম যে, আমাদের ইয়ং জেনারেশনের সালাম সাহেবকে দায়িত্বটা দেওয়ার জন্য। এর আগে উনিও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, নির্বাচন করার জন্য। আমাদের কাজিম ভাইও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

 

আমি বললাম, আমি স্বাস্থ্যগত কারণেই পারবো না। তাই আমি তিনবারই সালাম সাহেবের কথা বললাম। উনি (এমপি) বললেন, না; সালামের বয়স আছে। সে আরও চারবার নির্বাচন করতে পারবে, কোন অসুবিধা হবে না। পরিশেষে আমি বললাম কাজিম ভাইয়ের কথা। কাজিম ভাই আমার পরেই একজন মুরুব্বী। আমাদের দায়িত্বটা উনি নিতে পারবে।

 

কিন্তু কাজিম ভাই অনীহা প্রকাশ করলেন এবং এমপি সাহেব বললেন, কাজিম ভাই এখনও আমাদের দুইজনের চেয়ে ইয়ং আছে। সে আরও দুই তিনবার নির্বাচন করতে পারবে। কোন অসুবিধা হবে না। কাজিম ভাই বললেন, আমি অপারেশন করে আসছি। আমার ধারা সম্ভব না। সেদিন আমি মাফ চাইলাম, বললাম, না, আমি নির্বাচনটা করবো না। আমার ইচ্ছে ছিল যে, কাজিম ভাই নির্বাচনটা করতে পারবেন। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর