বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

এনায়েতনগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১  

ডিএনডি অধ্যুষিত ইউনিয়ন না হলেও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয় ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নকে। বর্ষা মৌসুম তাই শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত এই ইউনিয়নের লাখো শ্রমিকের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও পলিথিনসহ নানাবিধ বর্জ্যে ড্রেনগুলো ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে।

ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এসকল ড্রেনে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।এদিকে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো করলেই নয়, বরং ইউনিয়নটিতে বহমান খালগুলোও দখলমুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গেছে, এনায়েতনগর ইউনিয়নে কালিয়ানি ও গোয়ালবাড়ি খাল অবস্থিত। উভয় খালই দখল দুষণে মৃত প্রায়। বর্ষায় যখন জলাবদ্ধতা বাধ সাধে, তখন সদর উপজেলার তহবিল থেকে খাল সংস্কারে উদ্যোগি হয় ইউনিয়ন পরিষদ।

তবে, বিভিন্ন স্থানে মিল ফ্যাক্টরী ও গৃহস্থালির নানাবিধ দূষণে খালগুলো আবারও ময়লার ভাগারে পরিণত হয়। এতে খালের পানিপ্রবাহ আটকে যায়। খালের পানি নদী পর্যন্ত যেতে না পেরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এই মৌসুমেও খাল দুটির একই চিত্র। বিশেষ করে কালিয়ানি খাল দখল দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। সম্প্রতি এনায়েতনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৫ হাজার ৮শ ৪০ ফুট দৈর্ঘের কালিনীর বুক বিদীর্ন করে বিশাল বিশাল স্থাপনা গড়েছেন ৩৪ জন দখলদার। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বাকি ১৭টি আধাপাঁকা বসত ঘর। এদের তালিকা করা হলেও তারা নেয়া হচ্ছে না আইনী ব্যবস্থা। এদিকে, বর্ষা মৌসুম চলে আসলেও ইউনিয়নটির অভ্যান্তরীন ড্রেন ও খাল সংস্কার না করায় আবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে, এসকল ড্রেন ও খালগুলো এখনো পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।

এ বিষয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘পয়নিষ্কাশনের জন্য আমরা ড্রেনের কাজ করেছি। যেখানে যেখানে ড্রেনের প্রয়োজন, তা করা হয়েছে। কিন্তু ড্রেনের পানি যেই খাল হয়ে নদীতে যাবে, সেই খালের অবস্থা করুণ। বিশেষ করে কালিয়ানি খালের বিভিন্ন স্থানে মিল ফ্যাক্টরীর মালিকরা দখল করে রেখেছে।

তাছাড়া, তারা খালে নানাবিধ ময়লা আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করে ফেলে। আমরা বেশ কয়েকবার এই খাল সংস্কারের জন্য বেকু লাগিয়েছি। কিন্তু আবারও ময়লা আবর্জনা ফেলে খালগুলো আটকে দেয়া হয়। বিশেষ করে কাশিপুরের অংশে খালের বেশির ভাগই ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরে গেছে। এই অবস্থায় আবারও বর্ষা মৌসুমে পানিপ্রবাহ না হলে মাসদাইরসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিবে। বিষয়টি সদর উপজেলার মিটিংয়ে আমি একাধিকবার উপস্থাপন করেছি। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জানানোর কথা। এখন জানিয়েছে কিনা- সেটা বলতে পারছি না।’ এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।  

এই বিভাগের আরো খবর