বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

বন্দরে ওয়াসা বিল পরিশোধে বিড়ম্বনায় গ্রাহক

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১  

বন্দরে ওয়াসার গ্রাহকদের কাছে ওয়াসার বিল পরিশোধ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দরের কোন ব্যাংকই ওয়াসার বিল নিতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় বিপাকে পড়েছে বন্দরের নাসিকের আওয়াতভূক্ত ওয়াসার গ্রাহকগণ। বিলের পিছনে কোন্ কোন্ ব্যাংকে বিল জমা দেয়া যাবে নাম লেখা সত্তে¡ও সেসব ব্যাংক বিল জমা না নেয়ায় এখন ওয়াসার বিল পরিশোধে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওয়াসার গ্রাহকগণ। অনেকেরই একাধিক বিল একসাথে জমিয়ে বিল পরিশোধে শহরমূখী হচ্ছেন।

 

ফলে শহরের ব্যাংকের শাখাগুলোতেও বাড়ছে চাপ। অনেকে আবার মিটার রিডারকে রাজি করিয়ে তাদের মাধ্যমে বিল প্রতি দশটাকা বকশিস দিয়ে বিল পরিশোধের চেষ্টা করছেন। জনতা ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখার নিচে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার জানান, তিনি কখনো ওয়াসার বিল জমা দেননি। এখানে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল জমা নেয় এবং ওয়াসার বিলের পিছনে লেখা আছে জনতা ব্যাংকের যে কোন শাখায় বিল জমা দেয়া যাবে, তাই তিনি এখানে বিল জমা দিতে এসেছেন। কিন্তু এখানকার নিরাপত্তা কর্মী তাকে বলে দিয়েছে এখানে কোন পানির বিল জমা নেয়া হয় না। তিনি কোথায় বিল জমা দিবেন সে বিষয়ে কোন তথ্য পাচ্ছেনন না।

 

বিভিন্ন দোকান হতে অনলাইনের মাধ্যমে পানির বিল দেয়া যায় উল্লেখ করলে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় আরমান মিয়া জানান, ব্যাংকে বিল দিয়ে কাগজ জমা রাখার পরও আট দশ বছর আগের ভূতুড়ে বিল এখনো আসে। তিনি জানান, তার জমাদানের কাগজ ওয়াসা অফিসে জমা দেয়ার পরও সে সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। সেই অবস্থায় অনলাইনে কীসের বিশ্বাসে মানুষ বিল জমা দিবে। তিনি আরো জানা, বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাস বিল মাসের সিরিয়াল হিসেবে আসে। কোন মাসে বিল জমা না হলে পরের মাসে তা সমন্বয় করা হয়। এর ফলে কোন মাসের বিল গ্যাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

 

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের নবীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন জানান, আমাদেরকে ওয়াসা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি। ওয়াসা বিল নিতে হলে এর জন্য আলাদা একটি একাউন্ট করতে হয়। আমাদের সেই একাউন্ট নেই। আমাদের এ বিষয়ে হেড অফিস থেকেও কোন প্রকার অনুমতি বা নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই বিষয়ে জানার জন্য বন্দরের আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে গেলে সেখান থেকে ওয়াসার বিল হাতে নেমে আসা আলফাজ উদ্দিন জানান, তিনি একরামপুর এলাকায় থাকেন। এই ব্যাংকে আগে পানির বিল জমা নিলেও প্রায় দেড় বছর যাবত এখানে কোন বিল জমা নেন না। শুধু যাদের এই ব্যাংকে একাউন্ট আছে তাদের বিল জমা নেন। গতাকাল তিনি জানতে পেরেছেন আগের মতো এখানে এখন সবার বিল জমা নেন তাই তিনি বিল জমা দিতে এসেছেন কিন্তু তিনি দেরি করে ফেলেছেন তাই জমা নেননি।

 

তিনি জানান, এখানে ১০টা থেকে ১২ পর্যন্ত বিল জমা নেন। এখন ১২টা বেজে ৫মিনিট বেশি হয়েছে তাই সিকিউরিটি তাকে কালকে আসতে বলেছেন। জনতা ব্যাংকের বন্দর শাখার ম্যানেজার মাহমুদ শামীম জানান, হেড অফিসের সাথে আমাদের কোন চুক্তি হয়েছে কিনা আমাদের জানানো হয়নি। এধরণের কোন চুক্তি হলে আমাদের অবশ্যই অবগত করা হতো। ওয়াসা বিল জমা নিতে হলে আমাদের আলাদা একটি সফটওয়্যার লাগবে, যা আমাদের নেই। আমাদের হেড অফিসের সাথে চুক্তি হলে আমাদেরকে সেই সফটওয়্যার দেয়া হতো। তিনি বলেন, ওয়াসা বিলের পিছনে আমাদের ব্যাংকের যেকোন শাখার কথা কেন উল্লেখ করা হয়েছে এ বিষয়ে আমরা জানি না। বন্দরের তিনটি শাখার একটিতেও ওয়াসা বিল জমা নেয়ার ব্যবস্থা নেই।

এই বিভাগের আরো খবর