সোমবার   ০৬ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

কাজিমউদ্দিনের মৃত্যুর পরে বেকায়দায় চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৪  

 

বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দর-কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিমউদ্দিন প্রধানের মৃত্যুর পরে এবার বেকায়দায় পড়েছেন নৌ-পথের সকল অপকর্মের মূল হোতা সবুজ সিকদার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

 

নৌ-পথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই ও শ্রমিকদের দাবি আদায়ের নামে তিনি বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও মিছিল করে থাকেন। কিন্তু এ সকল সভা, সমাবেশ ও মিছিল ছিল তার একটি লোক দেখানো কৌশল। এছাড়াও নৌ-পথে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা।

 

জানা যায়, এক সময় বাবুর্চি থেকে জাহাজের সুকানি হন এই সবুজ সিকদার। পরে জাহাজের মাস্টার হন, তার কিছুদিন পরে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রয়াত শুক্কুর মাহমুদের ছত্রছায়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব কায়েম শুরু করেন সবুজ সিকদার। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন কার্গো জাহাজের মাস্টার, সুকানি, ড্রাইভারদের উপর চলে বর্বর নির্যাতন।

 

পরে শুক্কুর মাহমুদের মৃত্যুর পরে নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখার জন্য কাজিম উদ্দিন প্রধানের সাথে যোগদেন সবুজ সিকদার। এই কয়েক বছরের নৌ-পথে চাঁদাবাজি করে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। বরিশালের বরগুনা জেলা তার রয়েছে চারটি চারতলা বাড়ি। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি।

 

এ বিষয়ে কয়েকজন নৌযান শ্রমিক জানান, নদীতে প্রতিদিন দুইশতর উপরে কার্গো জাহাজ চলাচল করে। এসব জাহাজ থেকে প্রতিদিনই ব্যাপক চাঁদাবাজি করে থাকে সবুজ সিকদারের লোকজন। একটি জাহাজ ট্রিপ নিয়ে আসার পরই হামলে পরে চাঁদাবাজরা। তারা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক দাবি করেন। এছাড়াও নৌ-যান শ্রমিক সংগঠনের নামে তারা প্রতিদিন বাল্কহেড ও কার্গো থেকে ২০০-৩০০ টাকা করে চাঁদা তুলেন। কবির সহ আরও ৪-৫জন ট্রলার দিয়ে এর চাঁদা নেন। আমরা এই চাঁদাবাজ সবুজ সিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই এবং নৌ-পথ নিরাপদ চাই।  

 

এ বিষয়ে আরও একজন জানান, কাজিম উদ্দিন মরার পরে এখন সবুজ সিকদার বেকায়দায় আছেন। নিজের চাঁদাবাজি ধরে রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জের একজন যুবলীগ নেতার কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এস.এ/জেসি  

এই বিভাগের আরো খবর