শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

চেয়ারম্যান গিরির খায়েশ পুরোদমে চেপেছে মুকুলের ঘাড়ে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

 

চাপ আসবে জেনেও পুরোদমে মাঠে সক্রিয় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল। বিগত সময়ে এই উপজেলায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় এবারে ওসমান পরিবার সমর্থিত প্রার্থী এমএ রশিদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা তৈরী হয়ে গেছে তার।

 

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন না করতে ওসমান পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নিষেধ করা হলেও সেটার তোয়াক্কা না করে এবার নির্বাচনী কাজে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগীতা নিতে শুরু করেছেন আতাউর রহমান মুকুল।

 

সেই ধারাবাকিতায় এরইমধ্যে বন্দরে মুকুলের নির্বাচনী গণসংযোগে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশাকে। যিনি সাবেক এমপি আবুল কালামের পুত্র।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার চারজন প্রার্থী রয়েছেন। তারমধ্যে, ভোটের মাঠে তিনজন আছেন হেভিওয়েট। যারা হলেন- বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি নেতা মাকসুদ ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।

 

এদিকে, বিএনপি বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের হয়ে কাজ করতে এরইমধ্যে মাছে নামতে দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাদের। জানা গেছে, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নিয়েছেন সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম পুত্র নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা।

 

২৫ এপ্রিল বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা এলাকায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুকুলের পক্ষে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নেন আবুল কাউসার আশা।

 

অপরদিকে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতউর রহমান মুকুলকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তাদের মতে, আতাউর রহমান মুকুল এর আগেও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

যদিও এবার বিএনপির উপজেলা নির্বাচনকে বর্জন করেছে। তার উপর মুকুল বিএনপির বহিষ্কৃত হওয়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচনে তার তেমন বাধা নেই। যদিও বন্দরের বিএনপি নেতারা যেনো তার পক্ষে কোন ধরণের কাজ না করেন সেই আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

 

তবে, মুকুলকে দমানোর জন্য বড় ধরণের চাপ আসতে পারে ওসমান পরিবারের পক্ষ থেকে। কেননা, বিগত সময়ে বিএনপি নেতা থাকাবস্থায় ‘ওসমান পরিবারের রাজনীতি করেন’ এমনটাই বলে বেড়াতেন আতাউর রহমান মুকুল।

 

এবার সব ভুলে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির মাঠে নিজের দম দেখাতে প্রস্তুত বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। এস.এ/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর