বুধবার   ০৮ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

চোর-পুলিশ খেলছে ইমন ডায়াগনস্টিক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২২  

প্রশাসনের সাথে চোর পুলিশ খেলছে জেলার অবৈধ ক্লিনিক গুলো। সিভিল সার্জনের অভিযানের তথ্য পেলে স্বাস্থ্য সেবার ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে রাখে। অপর দিকে প্রশাসন চলে গেলে আবার খোলা রেখে দিব্বি কার্যক্রম চালিয়ে যান। অথচ গত মাসে সারা দেশের সকল অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

 গত মাসের ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে নারায়ণগঞ্জে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায়। এখানে জেলা স্বাস্থ্য থেকে অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে দিব্বি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে নগরীর খানপুর এলাকার ইমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে বেরা থাকায় প্রশাসনের চোখেও তেমন একটা পরে না।

 

 তাই তারাও অনুমোদন না নিয়ে প্রশাসনের সাথে চোর পুলিশ খেলে যায়।এদিকে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ৯৯ টি ক্লিনিক এবং ৫৫টি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার বৈধ রয়েছে। আর বাকি সবগুলোই অবৈধ তালিকায় আছে। তালিকার বাহিরেও অনেক ক্লিনিক, ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 অভিযোগ রয়েছে অনুমোদনহীন ক্লিনিক, ডায়াগনিস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনার পর থেকে বিভিন্ন ক্লিনিক মালিকরা জেলা সিভিল কার্যালয়ের ভিড় জমাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ টাকার বান্ডিল নিয়ে ম্যানেজ করার জন্য চেষ্টা করছেন। কোন ক্ষেত্রে বান্ডিল একটু বড় হলে ম্যানেজ হয়েও যায় কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, নগরীর খানপুর মোড় এলাকার ইমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ তালিকায় রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে তারা দিব্যি তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

 


অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ছলছাতুরি করে শহরের ৩শ’শয্যা হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে আসে। একই সাথে দালালদের মাধ্যমে রোগি এনে তাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। চিকিৎসার মান রয়েছে নানা প্রশ্ন। তার পরেও জেলা সিভিল সার্জন এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিরব রয়েছে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ দাবী করে বলেন তারা মাত্র কয়েক মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন।

 


অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে ক্লিনিকগুলো যেন কসাই খানা খুলে বসেছে। তাদের কাছে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করাতে গেলে অতিরিক্ত টাকা নেন। তাছাড়া গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী না করে তাদের সিজার করার পরামর্শ দেয়া হয়। সিজারের অপারেশন করে ক্লিনিক হাসপাতাল গুলো মোটা অংকের বাণিজ্য করে আসছে। অনেক সময় ভুল রিপোর্টের কারণে চিকিৎসার ব্যাগাত ঘটছে। অনেকের ভূল চিকিৎসার কারণে রোগী পর্যন্ত মারা যান।

 


 খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাদের ডিজি হেলথের কাগজপত্র নেই। সেই সাথে পরিবেশ দপ্তরের অনুমোদন নেই। তারা ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল থেকে রোগি নিয়ে আসে। তাদের থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বেশি টাকা আদায় করে নেন।


এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর