সোমবার   ০৬ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

দুর্নীতির অভিযোগে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সোহেল-মুক্তা বদলী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৩  


# বদলী ঠেকাতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ


রোগীদের যথাযথ সেবায় অনিহাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ বহু আগের। কিছু দিন আগেও নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালের পি এ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তখন তাকে এই অভিযোগের দায়ে এখান থেকে বদলী করা হয়। এবার অর্থ আত্মসাত সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।

 

 

গত ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মইনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়। বদলিপ্রাপ্ত কর্মচারীরা হলেন নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান সহকারী নাসরিন সুলতানা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সোহেল রানা। তাদের মধ্যে নাসরিন সুলতানাকে ঢাকার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সোহেল রানাকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।

 

 

এদিকে নগরীর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের দুই কর্মচারী নিয়ে একাধিক ব্যক্তি মুখ খুলতে শুরু করেছে। সেই সাথে তারা যে এখানে সিেিন্ডকেট গড়ে তুলে আধিপত্য বিস্তার করার পায়তারা করছে তানিয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা মুখ খুলছেন। এমনকি একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা এখানে পুনরায় বহাল থাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছেন। তাদের যেখানে বদলী করা হয়েছে সেখানে তারা যোগদান করতে চাচ্ছেন না।  

 

 

অপরদিকে হাসপাতালের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সোহেল মুক্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই যেখানেই ছিলেন নানা অনিয়ম দূর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব দুর্নীতির মাধ্যমে তারা আয় করেছেন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। অল্প সময়ে হয়েছেন বিত্ত বৈভবের মালিক।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাসরীন সুলতানা মুক্তা ২০১৯ সালে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে অসাধারণ আচরণ শুরু করেন।

 

 

সেই সাথে তাকে ম্যাডাম কিংবা বড় বাবু বলে ডাকতে হবে বলেন তিনি ফরমান জারি করেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের ফাইল সই করতে টাকা লাগবে অন্যথায় সই করবে না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিদরা প্রশ্ন তুলেন ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের মাঝে কি এমন মধু আছে, যেখানে আসলে আর যেতে চায় না।

 

 

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, দুইজনকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু কেন বদলী করা হয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলতে পারবেন। তবে তাদের বদলী হওয়া এবং না হওয়ার পিছনে আমার হাতে কোন কিছু নাই।

 

 

সেই সাথে এটা স্থগিতের জন্য তাঁরা আবেদনও করেছেন জানি। তাঁরা আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত রিলিজ নেয়নি। আমার কাছে আসেওনি। তাঁরা অফিসেও আসছেন না। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

 

 

তবে এ বিষয়ে নাসরীন সুলতানা মুক্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। সোহেল রানার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নাই। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর