সোমবার   ০৬ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ফতুল্লায় কিশোরগ্যাং লিডার লিখন গড়ে তুলেছে মাদকের সাম্রাজ্য

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নটি ধীরে ধীরে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে হিসেবে গড়ে উঠেছে। কুতুবপুরের বিভিন্ন স্থানে এখন মাদকের ছড়াছড়ি যা কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা প্রশাসনের আবার এই সকল মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক সহ গ্রেফতার হলেও  আবারো জামিনে বের হয়ে মাদকের সাথে জড়িত হচ্ছে।

 

 

শুধু তাই নয় পুরো কুতুবপুব এখন কিশোর গ্যাং এর নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে যা সামলাতে প্রশাসনকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই কুতুবপুরের  কোন না কোন এলাকাতে চাঁদাবাজি ছিনতাই হয়েই চলছে আর এই চাঁদা না দিলেই হতে হয় বর্বোরিত হামলার শিকার।

 

 

আর এখন কুতুবপুরের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অনেকটাই আলোচনায় এসেছেন নূরবাগ ,আদর্শ নগর এলাকার এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার প্রশাসনের গুলিকে বেশ কয়েক বছর আগে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করা সেই কুখ্যাত লিখন।

 


জানা যায়, কুতবুপুরে  কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী লিখন নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও তার দলীয় ভাবে কোন পদ পদবি নেই। এমনকি কোন রকম মিটিং মিছিলেও তাকে নেতৃত্ব দিতে কধনোই দেখা যায়নি। তবে কুতুবপুরে গড়ে তুলেছেন তার বিশাল ক্যাডার বাহিনী আর যেই বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিনিয়তই এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্যে গড়ে তুলেছেন। তাই বেশ কিছুদিন পর পরই তিনি মাদকের মামলায় গ্রেফতার হচ্ছেন।

 

 

তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় হত্যা , মাদক সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে এমনকি ফতুল্লা থানার পাশাপাশি ঢাকার কদমতলী থানাতেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা যে মামলাতে মাদক সহ গ্রেফতার হয় পরবর্তীতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মাস খানেকের মতো জেল খেটে জামিনে বের হয়। তার পরেও মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসেনি এই কুখ্যাত সন্ত্রাস লিখন। যার নিয়ন্ত্রনে কুতুবপুর ও কদমতলী এলাকাতে ব্যাপক পরিমানে মাদকের সাপ্লাই হয়ে থাকে।

 


আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাদক ব্যবসায়ী লিখনের নাকি অবৈধ পিস্তল রয়েছে যেটির দ্বারা প্রতিনিয়তই মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়তই চাঁদাবজি করে যাচ্ছ। লিখন পঙ্গু হলেও বসে বসে তার কিশোর গ্যাং বাহীনি দিয়ে নূরবাগ, আদর্শ নগর ,নিশ্চিন্তপুর ও তার আশে পাশে এলাকায় ছিনতাই ,মাদক, চাঁদাবাজি নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

 


এলাকাবাসীর সূত্রে আরও জানা যায়, লিখন পঙ্গুত্ব বরনের আগে থেকেই বেপারোয়া ছিলো। তার আতঙ্কে এলাকায় কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। এলাকায় বাড়িঘর করতে হলেও তার কাছ থেকে বাড়ির মাল সাবানা এবং চাঁদা দিতে হবে এমটাই হয়ে আসছিলো। তবে এলাকায় একটি হত্যার ঘটনার পর প্রশাসন  তাকে গ্রেফতার করতে আসলে তিনিও প্রশাসনের ওপর চরাও হন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হন কুখ্যাত সন্ত্রাসী কুতুবুপরের মাদকের সম্রাট লিখন।

 

 

তবে এলাকাবাসী হয়তো মনে করেছিলো এইবার হয়তো সে আলোর পথে ফিরে আসবে কিন্ত না আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে লিখন। ফতুল্লার মধ্যে বড় বড় মাদকের চালান তার মাধ্যমেই হয়ে থাকে তবে পঙ্গুত্বর কারনে সকলের সিম্ফীতি পেয়ে অনেকটাই আড়াল থেথে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে গেলেও এখন ধীরে ধীরে তার মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু হয়েছে।     এন. হুসেইন রনী   /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর