শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

বিএনপি কর্মীদের ভোট ঠেকাতে চলছে মামলার প্রস্তুতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

 

# পাঁচ ইউনিয়ন থেকে মামলায় আসামি হতে পারে তিনশত নেতাকর্মী 

 

আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে নিয়ে দফায় দফায় দৃশ্যপট হচ্ছে জটিল অংকের সমীকরণ। যা নিয়ে বন্দরসহ পুরো জেলা জুড়েই চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

 

বর্তমানে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেলে ও তার মধ্যে একে অপরকে বিভিন্ন বক্তব্য সহ মামলা-হামলার মাধ্যমে ল্যাং মারামারির মধ্যে দিয়েই চলমান রয়েছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা।

 

সব মিলিয়ে আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ (দোয়াত-কলম), সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি মাকসুদ হোসেন (আনারস) এবং তার ছেলে ড্যামী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান শুভ (হেলিকপ্টার)।

 

এদিকে বিভিন্ন মুখে মুখে একটিই কথা শোনা যাচ্ছে বন্দরের বিএনপির ভোট ব্যাংকের ভোট পরবে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থীর বক্সে। ইতিমধ্যে বন্দরে টাকা উড়িয়ে ভোট কিনতে মগ্ন রয়েছেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন।

 

তিনি টাকা জোরে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরউদ্দিনসহ আরো বেশি কিছু নেতাকর্মীদের নিজের আওতায় রেখেছেন। তাদের দিয়ে বন্দর বিএনপির ভোটগুলো কালেকশন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

 

অপর দিকে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল যিনি শহর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জালাল হাজী পরিবারের সদস্য যাকে ঘিরে বন্দরে তাদের একটি বিশাল কর্মী বাহিনী বৃদ্ধমান রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সেই সকল ভোট পাবে মুকুল অপর দিকে ন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ বিএনপির ভোট ব্যাংকের ভোট থেকে বঞ্চিত আছে বললেই চলে।

 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরে বিএনপির কর্মীদের ভোট ঠোকাতে পরিচালিত হচ্ছে নানা কুট-কৌশল। জানা গেছে, এম. এ রশীদের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি লিস্ট তৈরি হয়েছে যা নির্বাচনের পূর্ব  মুহূর্তেই মামলার বাস্তবায়ন হতে পারে।

 

সূত্র বলছে, বন্দর উপজেলায় চার জন প্রার্থী থাকলেও তিনজন মাঠে লড়াইয়ে তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ চেয়ার ধরে রাখার জন্য আবারও প্রার্থী হয়েছেন।

 

তাছাড়া তার উপর নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের আশীর্বাদ রয়েছে। এছাড়া রশিদের পক্ষে এই পরিবারের সমর্থন রয়েছে। তাছাড়া এখানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য তার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে নেমে কাজ করছে।

 

অপর দিকে মাকসুদ জাতীয় পার্টির নেতা ও মুকুল বিএনপির বহিষ্কৃত কিন্তু উভয়ের সাথেই বিএনপির একটি জটিল সখ্যতা রয়েছে। যাকে ঘিরে বন্দরে থাকা বিএনপির ভোট ব্যাংকের ভোট এই দুই নেতার বাক্সে যেতে পারে বলে ধারণা রয়েছে।

 

সেই ভোট ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে একটি চক্র যিনি ইতিমধ্যে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে বেঁছে বেঁছে ৫০ জন করে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি হচ্ছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। যে মামলার মাধ্যমে নির্বাচনকে ঘিরে আত্মগোপনে থাকবে বিএনপি এমনই একটি পরিকল্পনার আভাস দেখা মিলছে বন্দর উপজেলায়। এস.এ/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর