সোমবার   ০৬ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

বিনামূল্যের টিকা নিতে গুনতে হচ্ছে টাকা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩  

 

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সিটি করপোরেশনের ইপিআই টিকাদানকারী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সারা দেশে শিশুদের জন্মেও ৪৫ দিন পরে সরকার হতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইপিআই টিকা দেওয়া হয়। শুধু মাত্র শিশুদেরকেই নয় ১৫ বছরের কিশোরীদেরকেও এই টিকা প্রদান করা হয়।

 

যেখানে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া ও কার্ড করার নিয়ম রয়েছে সেখানে খানপুর জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রতিদিন এই কেন্দ্রে গড়ে ৫০ থেকে ১০০ শিশু ও কিশোরী টিকা নিতে আসে।

 

জানা যায়, নতুনকার্ড করতে জনপ্রতি ৯০ টাকা করে নিয়ে থাকেন তাহমিনা আক্তার। এছাড়া টিকা দিতে আসা সবার থেকে প্রতিবার ২০ টাকা করে নেওয়া হয়।  

 

বাচ্চাকে টিকা দিতে আসা আসমা বেগম বলেন, প্রথম টিকা দিবো বাবুকে তাই কার্ড করলাম। এই কার্ড করতেই ৯০ টাকা লেগেছে এবং টিকাসহ ১১০ টাকা দিয়েছি। সরকারি ভাবে এই টিকাটা দেওয়া হয় শুনছি টাকা নেওয়ার তো কথা না। কিন্তু এখানে এসে দেখি তারা কার্ড ও টিকা সহ ১০০ টাকার উপরে নিচ্ছে। এছাড়া প্রতিবার টিকা দিতে তারা ২০ টাকা করে নেয়।

 

মাহমুদ নামে অপর ব্যক্তি বলেন, কার্ড তো ২ মাস আগেই করেছি তখন ১২০ টাকা করে নিয়েছে । এখন বাচ্চাকে ৩য় ডোজ দিলাম, টিকা প্রতি তারা ২০ টাকা নিয়েছে। সরকারি ভাবে যদি এটা দিয়ে থাকে তাহলে তো এতো টাকা নেওয়ার কথা না। আমাদের বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে কি আর করবো। শুনেছি সিটিতে নাকি টাকা নেয় না কিন্তু আমাদের তো পঞ্চবটি থেকে এসে সেই নিতাইগঞ্জ গিয়ে দেওয়া সম্ভব না। এছাড়া এটা যেহেতু সরকারি তাহলে কোনো ব্যবস্থা নেয় না কেনো প্রশাসনের লোকরা। মানুষ তো কষ্ট করে রোজগার করে।

 

টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে টিকাদান কেন্দ্রে সেবা দেওয়া তাহমিনা আক্তার যুগের চিন্তাকে বলেন, হ্যাঁ আমি যা করেছি বা করছি তা ভুল আমি স্বীকার করি। এই টিকা দিতে কোনো টাকার প্রয়োজন হয় না কিন্তু আমরা যার থেকে যেমন পারি নেই। জোর করে কারো থেকে টাকা নেওয়া হয় না, অনেকে খুশি মনেও টাকা দিয়ে যায়। আমরা এভাবে কার্ড করতেই ৯০ টাকা নেই।

 

তিনি আরো বলেন, আর একটু আকটু এরোকম টাকা নেওয়া সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই হয়। এটা যে শুধু আমাদের এখানে তা কিন্তু না।

 

এ বিষয়ে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অফিস সহকারী নুরুন নাহার যুগের চিন্তাকে বলেন, এটা আমাদের বিষয় না। কারণ আমরা শুধু তাদেরকে রুম দিয়েছি। টিকাদান কারীরা সিটি করপোরেশনের আন্ডারে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।  

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। আপনি লিখিত অভিযোগ এনে আমাকে দেন, আমি তার ব্যবস্থা নিব। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর