শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

হিরণের বহিষ্কার চায় নেতাকর্মীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

 

আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে জাতীয় পার্টির নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে ভোট দেওয়ার জন্য ৫টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের চাপ ও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন কথিত নেতা বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ।

 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গের কারণে তার বহিস্কার চায় বন্দরের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনকে বয়কট করলে ও হিরণ স্বার্থলোভে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিতর্কিত প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের পক্ষে বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের থেকে আনারস মার্কায় ভোট চাইছেন আর মাকসুদকে বিএনপির ভোট ব্যাংক দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

 

উনি উনার ৫টি ইউনিয়নের নেতাদেরকে বিভিন্ন ভাষায় হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন মাকসুদ চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করতে আর আনারস মার্কায় তাকে তার পরিবারকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। যাকে ঘিরে রাজনীতি ছাড়ার মতো নানা পরিকল্পনা ও শুরু করে দিয়েছে অনেকেই।

 

তা না হলে ত্যাগী নেতাদের ধরে রাখতে এমন স্বার্থলোভী হিরণের বহিষ্কারের জন্য মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

 

এদিকে মাজহারুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে বিএনপির ভোট মাকসুদের হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের কাছ থেকে ৫টি ইউনিয়নের ইফতার পার্টির কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছিলেন আড়াইলক্ষ টাকা।

 

পরে কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের হাতে তুলে দেন ১ লক্ষ টাকা। আর ২৫ হাজার করে ৫টি ইউনিয়নে বাটোয়ারা করেছেন আর বাকি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিজের পকেট বন্দি করে ছিলেন হিরণ।

 

পরবর্তীতে প্রকাশ্যে না থেকে আর কিছু আত্মীয় স্বজনদের পাঠিয়ে দিয়েছে মাকসুদ চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করার লক্ষে। তা ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদের নির্বাচনী প্রচারনার বিভিন্ন স্থানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিত রেখে ক্যাম্প উদ্ভোধন করতে ও দেখা গেছে।

 

এদিকে সভাপতি হিরণ বন্দর উপজেলায় আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের আগে থেকেই বলে রেখেছেন, প্রকাশ্যে কিছু করার দরকার নাই, গোপনে গোপনে শুধু নির্বাচনের দিন ভোট দিয়ে আসলেই চলবে।

 

আর বর্তমানে যেহেতু আমাদের দল ক্ষমতায় নেই মাকসুদ ভাই বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হলে আমাদের সুবিধা এমন আশ্বাস পূর্ব থেকেই তার বলয়ের নেতাকর্মীদের দিয়ে আসছেন হিরণ। পরে আড়াইলাখের ঘটনায় শহরে প্রকাশ্যে আসলে তিনি পুরো বেপারোয়া হয়ে উঠেন।

 

উনি পরবর্তীতে প্রকাশ্যেভাবেই রাতের আধাঁরে তারাবি নামাজের পর মাকসুদের কাছ থেকে দুই দফায় ৮ লাখ পরর্তীতে আরো কয়েক দফায় বিএনপির ভোট ব্যাংক বিক্রির নামে টাকা এনেছেন আর সেগুলো কিছু অসাধু নেতাদের সাথে বন্টন করে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

তার এই টাকার ঘটনাও বন্দরের সকলের মুখে মুখে চলে আসলে ২৬ রমজান থেকে পা ভাঙ্গার দোহাই দিয়ে বলেন বাসায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে হিরণ সকলকে বলছেন।

 

অপর দিকে বন্দর উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও এই হিরণ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আটকে রেখেছেন। আর বর্তমানে ফোন করে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বলছেন মাকসুদের পক্ষেই থাকতে।

 

নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ নিবার্চনকে ঘিরে সুবিধা না করতে পারলে ও মাকুসদকে ঘিরে মোটা অংকের লাভবান হচ্ছেন হিরণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির একটি ভোট ও মাকসুদ পাবে না এমনটাই বলছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই হিরণকে তার কর্মকান্ডের ফল পেতে হবে বলছে নেতাকর্মীরা। এস.এ/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর