শনিবার   ০৪ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

গরমে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান-ছাতা-হাতপাখার, দামও চড়া

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  


তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পরেছে সারা দেশসহ নারায়ণগঞ্জের মানুষও। গত ৪-৫ দিন ধরে চলছে এমন অবস্থা। মাঝে মাধে শীতলতার হালকা বাতাসের স্পর্শ পায়া গেলেও তা যেন মনে হচ্ছে আগুনের হল্কা। রোদের প্রখর তাপের কারনে খালি জায়গা দিয়ে হাটলে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যেন। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরীর প্রতিটি মানুষ।

 

 

রোদের তীব্রতা থেকে বাচার জন্য বা একটুখানি শান্তির খোজে অনেকে ছুটছেন গাছের ছায়ার নিচে আবার অনেকে উচু উচু দালানের নিচে পাশে। এ কারনে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে ক্যাপ, হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি এর সঙ্গে বেড়েছে ছোট চার্জার ফ্যানের চাহিদা।

 


গতকাল (সোমবার) নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ডিআইটি ফ্যানের মার্কেট, ২নং রেল গেট ও কালিবাজারের পাইকারি মার্কেট  ঘুরে দেখা যায়, কেউ ছোট ইলেকট্রিক ফ্যান কিনছেন আবার কেউ চার্জার ফ্যান কিনছেন। কেউ ছাতা কিনছেন। কেউ হাতপাখা দরদাম করছেন। আবার অনেকেই মাথার ক্যাপ কিনছেন। বিক্রেতারা বলছেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে তীব্র গরম থাকার কারনে এসব জিনিসের চাহিদা বেড়েছে।

 


ডিআইটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ফ্যানের দোকান গুলোতে ফ্যান কিনতে মানুষের ভীড়। বিশেষ করে ক্রেতারা কিনছেন বেশি ছোট চার্জার ফ্যান যাতে করে ব্যাগের মধ্যে খুব সহজেই তা বহন করা যায়। এ নিয়ে সাকিব নামে এক ক্রেতা বলেন,  মাকের্টিং সেলসসের কাজ করি। ধরতে গেলে সারাদিন বাহিরে থাকা পরে। গরমের কারনে ক্লান্তি লাগে অনেক।

 

 

এ কারনে ছোট চার্জার ফ্যান কিনতে আসছি। দাম সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এখন অনেকটাই গরম পড়েছে। একারনে ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে। আর এই সুযোগটা ফ্যান বিক্রেতারা নিবে না তা কি হয় নাকি। আগে যে দামে তারা বিক্রি করেছে। এখন সেই ফ্যানই তারা দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে।

 


কালিবাজারে পাইকারি দোকানে ছাতা কিনতে আসছেন সবুজ মিয়া। সাথে তার ছোট ছোট দুটি ছেলে মেয়ে। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ তো কি হয়েছে । বাচ্চাদের তো প্রাইভেট পরতে যেতে হয়। এখন সূর্যের যে প্রখন তাপ এতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায়। তাপের কারনে মাথা পুরো গরম হয়েে থাকে। এ কারনে ছেলের জন্য একটা ছোট ছাতা কিনতে এসেছি।

 

 

ছেলে ছাতা কিনা দেখে মেয়েও বায়না ধরেছে তাকে ছাতা কিনে দেওয়ার জন্য। তাই ছেলে মেয়ে দুজনের জন্যই ছাতা কিনরাম। দাম সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে যে ছোট ছাতা কিনেছি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে এখন সেই ছাতা কিনতে হচ্ছে ৩০০- ৩৫০ টাকা দরে।

 


ছাতা দোকানের পাশ হাতপাখা বিক্রি করেন রশিদ মিয়া। তিনি বলেন, এখন হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। আগে থেকে বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে চাহিদা বাড়ায় হাতপাখার পাইকারি দামও বেড়েছ । তালপাতার হাতপাখা পাইকারি ৬০ টাকা দরে কিনে খুচরা ৮০ টাকা বিক্রি করি।

 

 

আর কাপড়ের তৈরি হাতপাখা ৬০ টাকা করে বিক্রি হয় যার পাইকারি দাম পড়ে ৪০ টাকা। গরমের শুরুতে হাতপাখা বিক্রি করে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা আয় হতো। এখন দৈনিক ৮০০-১০০০ টাকা লাভ হচ্ছে।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর