মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

শামীমকে খুশি করতে আইভীকে আক্রমন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪  

 

# দুনিয়ার ভোগ বিলাসই তার মূল টার্গেট, সখ্যতা রাখেন শামীম-গিয়াস-মাইনুদ্দিনের সাথে!

 

তিনি নাকি মাওলানা। সমাজে তিনি অতি উৎসাহী একজন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কেউ কেউ তাকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসাবেও মন্তব্য করে থাকেন। আবার ক্যাডার বললে তিনি বেশ খুশী হন বলেও তাকে কাছে থেকে চিনেন এমন অনেকে জানিয়েছেন। তিনি একটি গাড়ি কিনে সেটার সামনে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে আবার ফেসবুকে দিয়েছেন। তাই তাকে অনেকে গাড়িওয়ালা মাওলানা বলেও হাসি তামাশা করেন।

 

এক কথায় সম্পূর্ণ ভোগবিলাসে মত্ত্ব একজন মানুষ হলেন কথিতমাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। তিনি দাঁড়ি রেখেছেন, টুপি পরেন এবং জুব্বা পরেন। এটাকে অনেকে বলেন তার লেবাস। আসলে বাস্তবে তিনি দুনিয়ার আরাম আয়েশে বিশ্বাস করেন। ধর্মটাকে বিক্রি করে খান। তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এই সমাজের বহু মানুষ বেশ কড়া মন্তব্য করেছেন।

 

যেমন, সোস্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আলআমিন লিখেছেন, ধান্দাবাজ ফেরদৌস। সাখাওয়াত হোসেন লিখেছেন ফালতু মাওলানা। ইকবাল হোসেন লিখেছেন এরা নাকি মাওলানা, তাই কিচ্ছু বলা যাবে না। ওবায়দুল বারি লিখেছেন এদের কথা শুনলে ঈমান নষ্ট হবে। শহীদ উল্লাহ লিখেছেন এইডা একটা ফাউল। ফারুক ইসলাম লিখেছেন জোকার। মিয়া মোহাম্মদ জামান লিখেছন, চোট্টা মৌলবী। আর আরাফাত লিখেছেন ওরে জুতার মালা পড়াইয়া শহরে ঘুরাইতে হবে। মূলত এভাবেই ফেরদৌসুর রহমানকে নিয়ে সাধারণ মানুষ কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

 

তবে যারা তাকে কাছে থেকে চিনেন তাদের পরিষ্কার বক্তব্য হলো এই ফেরদৌস একটি বড় আকারের ধান্দাবাজ। সে ধর্মীয় রাজনীতির নামে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত রয়েছে। তলে তলে এই ফেরদৌস সকলের সাথেই সখ্যতা রেখে চলছে। একদিকে সে যেমন শামীম ওসমান এমপির সাথে সখ্যতা রেখেছেন অপরদিকে তিনি বিএনপির সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সাথেও সখ্যতা রেখেছেন।

 

তাকে জামায়াত নেতা মাওলানা মঈন উদ্দিন আহম্মেদের সাথেও দেখা যায়। তবে তিনি ক্ষমতার কাছে থাকতে পছন্দ করেন। তাই তিনি এখন শামীম ওসামন এমপির নাম ভাঙ্গাচ্ছেন। আর কিছুদিন পরপরই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আক্রমন করেন কেবলমাত্র শামীম ওসমানকে খুশী করার জন্য। তবে এই মুহুর্তে শামীম ওসমান তাতে খুশী হন কিনা সেটা শামীম ওসমানই বলতে পারবেন।

 

তবে নগরবাসী মনে করেন এসব টাউটদের ব্যাপারে শামীম ওসমানের উচিৎ আরো সতর্ক থাকা এবং এদেরকে প্রশ্রয় না দেয়া। কারণ শামীম ওসমান ক্ষমতায় না থাকলে এই ফেরদৌসই সবার আগে তার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করবে বলে অনেকে মনে করেন। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর