শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি

আরিফ হোসেন

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  

 

প্রথম ধাপে ৮ মে বন্দরের নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ হলেও আটকে আছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় আপিল বিভাগ কতৃক সিএমপি নং ৬৯৫/২০২২ এর ২৭ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখের আদেশ প্রতিপালনার্থে ৮ মে ২০২৪ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২২ শে মে ২০২৪ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে মর্মে মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করে।

 

নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী গতকাল ২২ শে এপ্রিল সোমবার শুনানি শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কথা থাকলেও এখনো তেমন কিছুই জানা যায়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

 

তবে সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ২২ শে এপ্রিল সোমবার এ নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে শুনানি হলেও এ নির্বাচনের বিষয়ে কোন ধরনের সুরাহা হয়নি এমনটিই বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় স্থগিত হওয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে এমন কোন তথ্যই ইতিমধ্যে পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, গতকাল এই সংক্রান্ত শুনানি হলেও আজ মঙ্গলবার বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যাবে। 

 

জানা যায়, এই সদর উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তফসিল ঘোষনার পরপরই সারাদেশেই সকল উপজেলার প্রার্থীরাই প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও ৫ টি উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নতুন প্রার্থীরাও নিজেদেরকে জানান দিতে বিভিন্ন জায়গাতে লাগিয়েছে নির্বাচনী সালাম পোস্টার।

 

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের বেশ কয়েকজনের আস্থাভাজন এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা বর্তমান ভাইস নাজিম উদ্দিন সহ আরো বেশ কয়েকজনের নাম শুধু তাই নয় সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও রয়েছেন।

 

অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১ নং সদস্য আবু মো. শরিফুল হক সহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

 

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এই ৫টি উপজেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হলেও দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যাবৎ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে এই উপজেলার। তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠিত হলে সদর উপজেলার কিছু অংশ সিটি কর্পোরেশনে চলে যায়।

 

এদিকে সদর উপজেলার কিছু এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ায় ওই সব এলাকা বাদ দিয়ে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (২০০৯ সনের ৩০ জুন সংশোধিত) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সদর উপজেলা পুর্নগঠন করে। ২০১৪ সালের ৪ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়।

 

এ গেজেট অনুযায়ী কয়েকটি এলাকা বাদ দিয়ে উপজেলার নতুন সীমানা নির্ধারণ হওয়ায় উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়। যার পিটিশন নং-৩০৮৯। এ রিট করেন ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির মৃত সুলতান বক্স চৌধুরীর ছেলে মো. আসাদউদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম মাসদাইরের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে বজলুর রহমান ও কাশিপুর উত্তর গোয়ালবন্দের হেলালউদ্দিন মুন্সীর ছেলে মো. হামিম মুন্সী।

 

সূত্রমতে, রিট আবেদনকারী প্রত্যেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের লোক হিসেবে পরিচিত। আর তাদের করা সীমানা সংক্রান্ত এই মামলার অজুহাতে নির্বাচন না হওয়ায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন তিনি। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর