শনিবার   ০৪ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

অভাব দারিদ্রের কষাঘাতে সাধারণ মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  


বর্তমান জনজীবনে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মানুষের উপর যে চাপ পরছে তা দু-মুঠো খেয়ে পরে উঠার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারের মাছ, মাংস, ডিম অথবা সবজি যাই কিনতে যায় সবই যেন সোনার দামে কিনতে হয়।। সরকারি নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভোগ্যপন্যের দাম সে কিছুদিন পর একি পরিস্থিতিতে নেমে আসে।

 

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়ে সাধারন মানুষের আয় বা মজুরি সেই হারে বাড়ে না। এক কথায় সাধারন মানুষের ভাগ্য এখন দরিদ্রের কষাঘাতে আবর্তন হচ্ছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন চালাতে গিয়ে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনে নেমে আসছে নিদারুনকষ্ট।

 


বাজারের ক্রেতারা বলেন, বাজারে আসা এখন মুশকিল হয়ে পরছে। বাজার আর কতদিন এমন চড়া থাকবে। আয় না বাড়লেও খাবার খরচের দাম যা বেড়েছে দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার আর কতদিন এমন চড়া থাকবে। আয় না বাড়লেও খাবার খরচের দাম যা বেড়েছে তা দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। যা আয় করি তা থেকে বাড়ি ভাড়া ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বাবদ আলাদা রাখতে হয়।

 

 

এরপর হাতে যা থাকে সেটি দিয়েই চলে খাওয়া ও অন্যন্যা খরচ। আর এখন দ্রব্যমূল্যের দাম দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় হিমঁশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। বাজারের আসা এক দিনমজুরের সাথে বাজরের হালচাল জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরিবের কপাল থেকে অনেক আগেই মাছ, মাংস নাই  হইয়া গেছে। এখন মানুষ একটু সবজি দিয়া ভাত খাইয়া জীবন চালায়  তার ও কোনো উপায় থাকবো না সামনের দিনে।

 

 

দিনে যা কামাই করি তা নিয়া বাজারে পা রাখলেই সব শেষ হইয়া যায়, কিন্তু আমার দিনের খবার টুকুও যোগার হয় না । এমনে চলতে থাকলে আমাগো মতো মানুষ কেমনে বাচবো?

 


বাসে এক যাত্রি সরকারি চাকরিজীবি প্রকাশ বলেন, ২০ টাকার ভাড়া এখন ৫০-৬০ টাকা নিচ্ছে, এ নিয়ে দৈনন্দিন আমাদের কত সমস্যা । বেতন পাই ১৫-১৬ হাজার, সেখান থেকে মাসে ভাড়াই চলে যায় ৪ হাজার টাকা । আবার সাথে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি তো আছেই, কি করে যে সংসার চালাবো তা বুঝে উঠতে পারছিনা। এই পরিস্থিতিতে তো সরকারের কাছে একটাই চাওয়া আমাদের বেতনটা বাড়িয়ে দেন না হলে আরো অসহায়ত্বে পরবো।

 


রিক্সাচালক বিপ্লব বরুয়া বলেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম তাই অল্প অল্প করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। শুধু নিত্যপন্যই না পানির বিল, বিদুৎ বিল ও ঔষদের দামও বেড়ে গেছে। বাজারে যে কখন কোন সবজির দাম বাড়ছে আর কোনটির দাম কমছে তা বলতে পারে না কেউ। মনে হচ্ছে প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বাড়া নিয়ে প্রতিযোগীতা চলছে।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর