রোববার   ০৫ মে ২০২৪   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

নৌপথে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পদের মালিক চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

 

নৌ-পথে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেও পারপেয়ে যাচ্ছেন চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার। কখনও শ্রমিকলীগ, কখনও বা নৌ শ্রমিকলীগ, আবার কখনও জাহাজী শ্রমিকলীগ। এই সকল সংগঠনের নামে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নদী পথে চাঁদাবাজি করছেন সবুজ সিকদারের পালিত বাহিনী চাঁদাবাজ কবির, চুন্নু, মিরাজ সহ আরও কয়েকজন। আর সেই চাঁদাবাজির টাকা প্রতিদিন ভাগভাটোয়ারা হয় শহরের ৫নং মাছ ঘাট এলাকায়।

 

সেখানে তাদের রয়েছে একটি অস্থায়ী কার্যালয়। সেখানেই চলে চাঁদাবাজি সহ নানা রকমের অপকর্ম। তাছাড়াও লোক দেখানো কৌশলে নৌ-পথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই ও শ্রমিকদের দাবি আদায়ের নামে তিনি বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও মিছিল করে থাকেন এই সবুজ সিকদার।

 

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। এক সময় বাবুর্চি থেকে জাহাজের সুকানি হন এই সবুজ সিকদার। পরে জাহারের মাস্টার হন, তার কিছুদিন পরে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রয়াত শুক্কুর মাহমুদের ছত্রছায়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব কায়েম শুরু করেন সবুজ সিকদার। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন কার্গো জাহাজের মাস্টার, সুকানি, ড্রাইভারদের উপর চলে বর্বর নির্যাতন।

 

পরে শুক্কুর মাহমুদের মৃত্যুর পরে নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখার জন্য কাজিম উদ্দিন প্রধানের সাথে যোগদেন সবুজ সিকদার। বর্তমানে কাজিম উদ্দিনের মৃত্যুর পরে বেকায়দায় আছেন সবুজ সিকদার। নিজের চাঁদাজি ধরে রাখার জন্য জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাদের পেছনে ঘুরছেন এই সবুজ সিকদার। এই কয়েক বছরের নৌ-পথে চাঁদাবাজি করে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। বরিশালের বরগুনা জেলা তার রয়েছে চারটি চারতলা বাড়ি। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি।

 

এ বিষয়ে কয়েকজন নৌযান শ্রমিক জানান, আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে করেছেন বাড়ি-ঘর। বর্তমানে তার ৪টা বাড়ি রয়েছে। সবুজ সিকদারের  অন্য কোন ব্যবসা নেই। তার পেশাই হচ্ছে শ্রমিকদের নামে চাঁদা তোলা। প্রতিদিনই ব্যাপক চাঁদাবাজি করে থাকে সবুজ সিকদারের লোকজন। একটি জাহাজ ট্রিপ নিয়ে আসার পরই হামলে পড়ে চাঁদাবাজরা। তারা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক দাবি করেন।

 

এছাড়াও নৌ-যান শ্রমিক সংগঠনের নামে তারা প্রতিদিন বাল্কহেড ও কার্গো থেকে ২০০-৩০০ টাকা করে চাঁদা তুলেন। কবির সহ আরও ৪-৫জন ট্রলার দিয়ে এর চাঁদা নেন। আমরা এই চাঁদাবাজ সবুজ সিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই এবং নৌ-পথ নিরাপদ চাই। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর