বুধবার   ০৮ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

সিটি কর্পোরেশন যেকোন সময় আমার সাথে বসতে পারেন: সেলিম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম ওসমান জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের জন্য আমার হায়াত চাই না, আমার হায়াত চাই আপনাদের জন্য, আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। আমি যতক্ষণ বেঁচে থাকবো, যতক্ষণ দম চলবে, আমি আমার সাতটা ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের যারা আমার কাছে আসেন, যদি সিটি কর্পোরেশন চান আমার সাথে যেকোন সময় বসতে পারেন। আমার এই সাত বছরে আমি কয়েকজনের সাথে বসতে পারছি না। এটাই হচ্ছে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ।

 

তিনি বলেন, যদি আমরা সবাই মিলে একসাথে বসতে পারি, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। নারায়ণগঞ্জে মশা থাকবে না, নারায়ণগঞ্জে যানজট থাকবে না, নারায়ণগঞ্জে হকার নিয়ে প্রবলেম হবে না, এগুলোকে রাজনীতি বলে না। রাজনীতি এক জিনিস আর দায়িত্ব এক জিনিস। বসেন সমস্যার সমাধান করেন।

 

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, আমরা মুখ বন্ধ করলাম। আমরা গীবত গাইবো না। আমরা বিবেচনা করবো পুরো রমজান মাস, কে কীভাবে চলছেন।

 

তিনি আরো বলেন, নবীগঞ্জ কদমরসুল ব্রিজ সরকার থেকে সেনশন হয়ে গেছে। এখানে কারো কোন প্রকার কৃতিত্ব নাই। আমরা আমাদের মতো করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করেছি। আবেদনের পরিপেক্ষিতে তা সেনশন হয়ে রয়েছে, এখন শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার। আমরা আশা করি, এই বছরের মধ্যে এর কাজ শুরু হবে। যত করোনাই হোক না কেন, এটার কাজ শুরু করতে হবে। এখানে কোন রাজনৈতিক ফয়দা নেয়া যাবে না। মানুষের জন্য কাজ সবাই সম্মিলিতভাবে করতে হবে।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান রয়েছে হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ফেরী সার্ভিস। যতদিন পর্যন্ত না ব্রিজ (কদমরসুল ব্রিজ) হবে ততদিন এই ফেরী সার্ভিস চলবে। সেখানে এখন একটা চলছে, তিনটা চলার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে মানুষের কোন রকম অসুবিধা না হয়।

 

তিনি বলেন, বন্দরের শান্তির চরের বিষয় নিয়ে আমরা আগামীকাল সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসবো। আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যেন এই শান্তির চরের উন্নয়ন করতে পারি। নদীর এপার থেকে ঐপার গিয়ে কাউকে কাজ করতে হবে না। আপনার সঠিকভাবে চললে আপনাদের এখানেই বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন কাজ করতে আসবে। আপনার সহযোগিতা করলে আপনারা হবেন উন্নত শহরের মানুষ।

 

তিনি বলেন, এই লাঙ্গলবন্দের এই পার ঐপার দুইপারে যেন পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করা হয়, আমার এলাকার মানুষ যেন ভাল থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করেছি। এর জন্য হাজার কোটি টাকার উর্ধ্বে এখানে সেনশন করা আছে। শুধু করোনা ভাইরাস আমাদেরকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। 

 

তিনি বলেন, আমি একটা কথাই বলেছি, আমরা গালমন্দ খাবো, সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা লেখবেন, আপনাদের পত্রিকা চলবে, আমাদের ভুল থাকলে বলবেন, আমরা শুধরাইয়া নেয়ার চেষ্টা করবো। আমাকে এপারে পাঁচজন চেয়ারম্যান ঐ পারে দুইজন চেয়ারম্যান যদি আপনারা উপহার দেন।

 

সংসদ সদস্য বলেন, সেলিম ওসমান যা বলে, তা করে, যা বলে না, তা করে না। সেলিম ওসমান হারাম খায় না; হারাম খেতেও দেয় না। তিনি বলেন জনপ্রতিনিধিরা ভাল কাজ করে গেলে সবার আগে জান্নাতে পাবেন। এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা কাজ করি।

 

দুপুরে বেশ কিছু সময় ইলেকট্রিসিটি (বিদ্যুৎ) না থাকায় তিনি তার সমালোচনা করে বলেন, সারা বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর সর্ব প্রথম হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইলেকট্রিসিটি হয়ে গেছে সেখানে কেন আজকে এখানে ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। আমি তদন্ত করে দেখবো কেন ইলেকট্রিসিটি চলে গেল? কোন ওয়েদার খারাপ না, ঝর না, তুফান না, কেন বিদ্যুৎ গেল এখানকার ডিজিএম সাহেবকে আমার কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। হাজার মানুষের এখানে সমাগম, সেখানে ইলেকট্রিসিটি চলে যায় কেন?। প্রধানমন্ত্রী এই বন্দরকে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম পল্লী বিদ্যুৎ এ প্রথম স্থান দিয়েছেন। সেখানে আবার কারেন্ট যায় কেমন করে, তদন্ত চলবে।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ, বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানসহ আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতকর্মীগণ।
 

এই বিভাগের আরো খবর