মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

তীব্র তাপে রাস্তা-ঘাট শূন্য

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রী থাকলেও অনুভূত তাপমাত্রা আরও বেশি। ঘরের বাইরে বের হলেই তীব্র গরমে ঘামে ভিজে যায় গায়ের জামা-কাপড়। তাই বর্তমানে সর্বত্রই দুপুরের আগে-পরে মানুষের চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে দিনের একটা সময় অনেকটা স্থবির হয়ে যায় কাজকর্ম। এছাড়া হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।

 

 

তীব্র গরমে শুধু বয়স্করা নয় শিশুরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বয়স্করা হাঁপানিসহ হিটস্ট্রোকসহ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র এই তাপদাহে সবার উচিত যতটুকু সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে রাখা।

 

 

বেশি করে পানি পান করে নিজেদের শরীর আর্দ্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত একসপ্তাহ যাবৎ তীব্র গরমে হিট অ্যালার্ট থাকার কারনে প্রয়োজন থাকার মানুষ ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না।

 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসের হেলপার যুগের চিন্তাকে বলেন, রাস্তায় অতিরিক্ত গরমে যাত্রীর সংখ্যা কম। সারা দেশে তীব্র তাপ প্রবাহে হিট অ্যালার্ট চলছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই কয়েকদিনে অর্ধেক যাত্রীও নেই। গরমে মানুষ রাস্তায় নেমেছে কম।  যাদের অফিস কিংবা জরুরি প্রয়োজন তারা ছাড়া কেউ রাস্তায় নামেনি। যতক্ষণ রোদের তাপ প্রখর থাকে ততক্ষণ রাস্তায় প্রায় ফাঁকা থাকে।

 


২নং রেলগেটের অটো ও জিএনজি চালকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আগে সাইন বোর্ড বা পঞ্চবটি যাওয়ার জন্য গাড়ি এনে দাড় করালেই ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে যাত্রী পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন ডেকেও যাত্রী পাওয়া যায় না। এই গরমের কারনে আর হিট অ্যালার্টের জারি আবারও বাড়িয়ে দাওয়ার কারনে মানুষ এখন ভয়ে আছে। কিন্তু আমাদের আর কি করার। যত যাই হোক না কেনো আমাদের তো গাড়ি নিয়ে বের হতেই হবে। না হলে আমাদের পরিবার চলবে কি করে।  

 


সাইফুল নামে এক যাত্রী বলেন, তীব্র তাপে আমাদের বাসে চলা কষ্টের। আবার এসি বাসে যে ভাড়া তাতে আমাদের মধ্যবিত্তদের চলা সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে লোকাল বাসেই যাতায়াত করি। অন্যদিকে লোকাল বাসে দেখা যায় ফ্যান গুলো নষ্ট থাকে। মানুষের চাপ, রোদের তাপে শরীর পুরো ক্লান্ত হয়ে যায়।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর