বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

বিএনপি নেতারা লাপাত্তা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১  

সদর উপজেলা ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নে রয়েছে বিএনপির প্রায় দেড় শতাধিক ছোট বড় নেতা। আর সেইসব নেতাদের খোঁজেই পাচ্ছেন না করোনা লকডাউন ও জলাবদ্ধতায় বন্দী অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, একদিকে কঠোর লকডাউন অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, সাধারণ মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে।

 

কুতুবপুরে অসহায় মানুষদের পাশে নেই বিএনপির নেতারা। তাদের রাজনীতি যেন মানুষের সেবা করার জন্য না, এমন কান্তিলগ্নে মানুষের পাশে কখনো দেখা যায়নি এইসব বিএনপির নেতাদের। তাদের দেখা যায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে বড় বড় বক্তৃতা মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকারও প্রতিশ্রæতি দিতে, কিন্তু বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, তিনি জাতীয়তবাদী দল বিএনপির থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তার চেয়ারম্যানি টিকিয়ে রাখতে এখন দল থেকে বহিষ্কার রয়েছেন।

 

একদিকে কঠোর লকডাউন অন্যদিকে জলাবদ্ধতা থাকলেও সরকারী কিছু খাদ্য বা অর্থ বিতরণ করেই যেনো তার দায়িত্ব শেষ। ইউনিয়নবাসী তাদের নিজস্ব অর্থায়ানে কিছুই পাননি এমন দুঃসময়ে। আরেক জন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। তার বাড়িও এই ইউনিয়নের নয়ামাটিতে। টিটুকে মনের ভুলেও অসহায় মানুষের পাশে কখনো দেখা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন নির্বাচনে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই পান্নাকে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় এলাকায় পাওয়া যায়নি তাকে। এমন নেতা কুতুবপুরের ঘরে ঘরে রয়েছে কিন্তু তাদের রাজনীতি কি শুধুই নিজের আখের গুছানো নাকি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়া।

 

কুতুবপুরে রয়েছে বিএনপির কয়েক শতাধিক নেতা, তাদের মধ্যে রয়েছে, মামুন হাবিব, মাহাবুবুর রহমান চঞ্চল, নজরুল ইসলাম মাতবর, শহিদুল্লাহ মিয়া, বাবুল মিয়া, নজরুল ইসলাম, তারেকুল ইসলাম তারেক, মন্টু মিয়া, রঞ্জু মিয়া। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে আকাশছোঁয়া অর্থসম্পতি। দুঃসময়ে মানুষের পাশে না থেকে এই সম্পতি দিয়ে কি হবে। কুতুবপুর ইউনিয়নবাসী তাদের প্রতি ঘৃণা করে বলেন, করোনা ভাইরাসে এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউন অন্যদিকে জলাবদ্ধতা আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেচে থাকা অনেক কষ্ট হয়ে ধারিয়েছে। আমরা কার কাছে যাবো আমরা কি করবো চিন্ত করে পাচ্ছি না। আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখেন না। চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ বলেন আর বিএনপি বলেন কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না।

 

তাহলে তাদের মতো নেতা নামধারী খেতা দিয়ে আমাদের কি দরকার। তার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা করেছেন বিশাল বাড়ি কিনেছেন দামী গাড়িও আর আমরা পানিতে ডুবে থাকার পারেও আমাদের খবর কেউ রাখে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কুতুবপুরে নেতার অভাব নেই কিন্তু মানুষের দুঃসময়ে তারা থাকে পাঁচতলায় আর আমরা পানির নিচে। তারা আমাদের খবর রাখেন না। জলাবদ্ধতা ও লকডাউনের এমন সময়ে নেতারা এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়েছেন।

 

মাঝে মধ্যে চেয়ারম্যান, মেম্বারা কিছু সরকারি অনুদান দিলেও তা আমরা পাইনা, পায় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, নেতাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের কিছুই দেওয়া হয় না। আর বিএনপির নেতাদের এই লকডাউন ও জলাবদ্ধতার সময়ে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিজেও একজন বিএনপির কর্মী, আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার দলের কোনো নেতাকে এই সময়ে দেখিনি। তাদের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে যদি আগামীতে রাজনীতি করতে হয় তাহলে এখনো সময় আছে সাধারণ অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে ধারান। আপনাদের অপেক্ষায় আমাদের জীবন বাচাতে এখন অনেক কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

 

এই বিভাগের আরো খবর