শনিবার   ০৪ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  

 

# আজ প্রতীক বরাদ্দের পর আরও প্রাণবন্ত হবে বলে স্থানীয়দের অভিমত
# চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন করে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে ২ জন লড়াই করছেন

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার আগামী ৮ মে। এরই মধ্যে আইনী জটিলতার কারণে সদর উপজেলার নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত। তাই ৮ মে বন্দর উপজেলায় পরিষদের একটি প্রাণবন্ত ও উৎসবমূখর নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জবাসী। তবে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বন্দরে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর এখন চেয়ারম্যান পদে প্রতিযোগী আছেন মোট চারজন। এই চারজনই মনোনয়ন প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

 

এরই মধ্যে একটি চক্র নির্বাচনকে বানচাল করে সিলেকশনের মাধ্যমে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমেই পদ নির্ধারণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রার্থী ও ভোটারসহ পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী মাঠ আরও সরব হয়ে উঠবে বলে জানা গেছে।

 

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি নিয়ে কাজ করেন এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, প্রথম দিকে প্রকাশ্যে নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের লোককে পদে অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি এখন গোপন মিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রধান ও সরকার প্রধান নির্বাচনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করার কারণে এখন তা আর প্রকাশ্যে করা হচ্ছে না বলে প্রার্থীরা সবাই সর্বশক্তি ও সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের জয়ী করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন।

 

বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন ৫ জন। এরা হলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ।

 

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আবু সুফিয়ান। যার ফলে চেয়ারম্যান পদের সর্বশেষ প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান শুভ তার পিতা মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন দিয়ে বসে যেতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মো. আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর