শনিবার   ০৪ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪  


জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে তিন টি পদে মোট ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

 

 

তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন পাঁচ জন প্রার্থী, এরা হলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

 

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন চার জন প্রার্থী, এরা হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লঅহ সানু, এড.আলমগীর হোসেন, মো.মোশাঈদ রহমান মুকিত ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী, মাহমুদা আক্তার ও বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে বন্দর উপজেলার প্রতিটি ভোটারদের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

 

 

কে হবে আগামী নির্বাচনে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এর মধ্যে প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের মাঝে চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী নাম শুনা যাচ্ছে, এমএ রশিদ, আতাউর রহমান মুকুল ও মাকসুদ হোসেন। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল্লাহ সানু ছাড়া কোন হেভিওয়েট প্রার্থী দেখছেন না বন্দরবাসী। এবারে নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

 

 

তাছাড়াও গত নির্বাচনে সানাউল্লাহ সানু ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দশ হাজার ভোট বেশি পেয়ে পরাজিত করেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সানাউল্লার সানুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন শহরের এক আলোচিত কর্মী মো.মোশাঈদ রহমান মুকিত। কে এই মুকিত? বন্দর বাসী তাকে ঠিক মতো না চিনলেও তিনি বন্দরের প্রতিটি ওয়ার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

 

 

তার পোস্টারে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ নাসিক ওসমান, তার সহধমির্নী পারভিন ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমানের ছবি। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নেমেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালে এই মুকিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু’র পিএ। সে সব সময় সানুর পাশে পাশে থাকতেন। সানাউল্লাহ  সানুর যে কোন কাজ কর্ম এই মুকিত করতেন।

 

 

বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টির মিছিল মিটিংয়ে মুকিত সানু পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলতেন। সানুকে আঙ্কেল ডাকতো আবার কখনও মামা ডাকতো। কিন্তু হঠাৎ করে সানাউল্লাহ সানুর পাশ ছেড়ে যোগদের আজমেরী ওসমানের গ্রুপে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় আজমেরী ওসমানের মিছিলে মুকিত হুশিয়ারীর কয়েকজন কর্মী এনে যোগদেন। কয়েক বছর আগে আজমেরী ওসমানের একজন কাছের লোক লিমনের মাসদাইর বাড়ি হামলা চালায় এই মুকিত।

 

 

সে হামলার পরে মুকিত টাইম লাইনে আসে। এর পরে গত বছর মুকিতের নেতৃত্বে আলী হায়দার শামীমের অফিস ভাংচুর করা হয়। পরে জানা যায়, জুয়ার বোর্ড চালানোর কারনে আজমেরী ওসমানের নির্দেশে মুকিত এই হামলা চালায়। এবিষয়ে কয়েকজন ভোটার জানান, মুকিত কে , কোথায় থেকে এসেছে, আমরা তাকে চিনি না। সে এক সময় সানু ভাইয়ের কাজ করতো, এখন আজমেরী ওসমানের ঘাড়ে বসে নির্বাচন করছে।

 

 

লিফলেট দিচ্ছে সেখানে নাসিম ওসমান, পারভিন ওসমান ও আজমেরী ওসমানের ছবি। সে সবাইকে বুঝায় সে আজমেরী ওসমানের দোয়া নিয়ে নির্বাচন করছে। কিন্তু আমরা কোন চামচা, চাঁদাবাজকে ভোট দেবো না। আমরা ভালো মানুষকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২৩ এপ্রিল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ।

 

 

আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচেন ৫৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১লাখ ৩১ হাজার ৫শ ৬৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫শ ও নারী ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ এবং উভয় লিঙ্গের ভোটার ২জন।

এই বিভাগের আরো খবর