শনিবার   ০৪ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৪  

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও লড়াই হতে যাচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলের প্রার্থী ছিলেন। আর এ নিয়ে বিএনপি বরাবর বলে আসছে এই নির্বাচন ক্ষমতাসীন দল নিজেরাই একটি নির্বাচন করেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে হেভিওয়েট শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লড়াই হতে যাচ্ছে। আর এতে করে একই দলের প্রার্থীর সাথে আরেক প্রার্থী প্রতিপক্ষ হবে। এদিকে আগামী ২১ মে নারায়ণগঞ্জ ৩টি উপজেলার মাঝে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে রোববার (২১ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন, তারা হলেন- সেলিম প্রধান, গাজী গোলাম মর্তূজা, মো. তাবিবুল কাদির তমাল, মো. হাবিবুর রহমান, আবু হোসেন ভুঞা (রানু)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন, তারা হলেন- মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, মো. হাবিবুর রহমান (হারেজ), রাসেল আহাম্মেদ, মো. মিজানুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন, তারা হলেন- ফেরদৌসী আক্তার, ফেরদৌসী জান্নাত, সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, তানিয়া সুলতানা।

 

অপরদিকে ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। ক্ষমতাসীনেরা এই ‘স্বতন্ত্র কৌশল’ নেওয়ার সময় আশা করেছিল, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে না থাকলে বিএনপির নেতাদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

 

কিন্তু প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে গেলেও বিএনপি এই নির্বাচনের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানান তারা অংশ গ্রহন করবে না। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় হাই কমান্ড থেকে বার বার বলা হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে এমপি মন্ত্রীরা কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারবে না। এমনকি তাদের সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার হতে হবে জানিয়ে দেয়া হয় দলীয় হাই কমান্ড।

 

কিন্তু এত কিছুর পরেও নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে তার কোন কর্ণপাত করা হচ্ছে না। কেননা এখানে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজী। স্থানীয় লোকজন বলছে তিনি যদি সর্বশেষ নির্বাচনের মাঠে থাকেন নির্বাচিত হতে পারেন। কেননা তার ভালো জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়া তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত তেমন কোন হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। তাই রূপগঞ্জের মাঠে এমপির ছেলে হলেও মাঠ ছাড়ছেন না। তাছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত কতটুকু বহাল থাকে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দেখা যাক নির্বাচন পর্যন্ত কারা মাঠে থাকে।

 

উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ মে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১ মে। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর