রোববার   ০৫ মে ২০২৪   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

উপজেলা নির্বাচনে উধাও তৈমুরের তৃণমূল বিএনপি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

 

# সংসদ নির্বাচনে দু শ’র উপর প্রার্থী দিলেও উপজেলায় নেই

 

গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় থাকা তৃণমূল বিএনপি কোনও আসনেই জয়ী হতে পারেনি। এমনকি জামানত হারিয়েছেন স্বয়ং দলটির চেয়ারপারসন ও মহাসচিবও। তবে দলের নেতাদের দাবি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘প্রতারিত' হয়েছেন তারা।

 

সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যথেষ্ট আলোচনায় ছিল তৃণমূল বিএনপি। জয় না পেলেও রাজনৈতিক পরিচয় পেয়েছে তারা। তখন তারা মিডিয়াতে কিন্তু এই তৃনমুল বিএনপিকে দিয়ে সরকারের যে উদ্দেশ্য ছিল তা সফল করতে দলের নেতারা ব্যর্থ হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সারাদেশে তৃনমুল বিএনপি নিয়ে হৈ চৈ হলেও বর্তমানে উপজেলা নির্বাচনে তাদের কোন সারা নেই।

 

সংসদ নির্বাচনে তারা ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষনা দিয়ে ২৩০ আসনে প্রার্থী দিয়ে কোন আসনে জয় হতে পারে নাই। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখন সারাদেশে হৈ চৈ হলেও তৃমুল বিএনপির কোন আলোচনা নেই। এমনকি তাদের কোন নেতাকে এই নির্বাচন নিয়ে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। অনেকে বলছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে তৃমূল বিএনপি উধাও হয়ে গেছে। কেননা তাদের কোন কার্যক্রম দেখা যায় নাই।

 

এদিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনের চেয়াম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থী প্রতীক পেয়ে মাঠে লড়াইয়ে নেমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। আগামী ৮ মে জেলার বন্দর উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার কিছু দিন নারায়ণগঞ্জের সোনারাগাঁ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপেজলার নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে এই তিন উপেজলা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

 

ইতোমধ্যে জেলার এই তিন উপজেলার প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। আগামী ১ মে তিন উপজেলার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে হাঁক ডাক দিয়ে শমসের তৈমুরের তৃনমূল বিএনপি আলোচনায় ছিলেন উপজেলা নির্বাচনের তাদের দেখা পর্যন্ত নেই।

 

যদিও উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে প্রার্থীতায় উম্মুক্ত রেখেছেন। আর এতে করে প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় জাতীয় পার্টিরও একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তার মাঝে বন্দর উপজেলায় জাপার প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু সারা দেশের তুলনায় নারায়ণগঞ্জে তৃনমূল বিএনপির কোন প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে নেই।

 

খোজঁ নিয়ে জান যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার ১৪ দিনের মাথায়ও কার্যালয়ে যাননি দলের চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। এমনকি গত তিন মাসেও তাদের তেমন কোন দেখা নেই। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারেও তাদের দেখা মিলছে না। এক প্রকার তারা রাজনীতির মাঠ থেকে অনেকটা আউট হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় পর্যায়ে তনৃমুল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলমকে দেখা যাচ্ছে না।

 

এছাড়া দলের শীর্ষ তিন নেতা চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও নির্বাহী সভাপতি অন্তরা সেলিমা হুদা জামানত হারিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে নির্বাচন করেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছে তৃতীয় হয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী।

 

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমূর আলম খন্দকার অংশ নিয়ে জামানত হারান। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আর তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। তৈমুর নারায়ণগঞ্জের সন্তান হয়েও এই জেলার ৫টি আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে উড়ে আসা জুড়ে বসা দল তৃনমুল বিএনপি। অর্থাৎ তারা হঠাৎ করে আলোচনায় এসে তারা আবার উধাও হয়ে যান। রাজনৈতিক বোদ্ধমহল বলছে তার উপজেলা নির্বাচনে উধাও হয়ে রয়েছে।

 

এ বিষয়ে তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বান বন্ধ পাওয়া যায়। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর