রোববার   ০৫ মে ২০২৪   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

এমপি খোকার বিরুদ্ধে আ.লীগের প্রার্থী মাসুমের অভিযোগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২২  

 

# আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে: নির্বাচন অফিসার
# যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে সতর্ক করা হয়েছে: ডিসি

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের তালা প্রতীক পক্ষে সোনারগাঁ ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা ও  সভা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 

 

সেই সাথে অভিযোগের সত্যতা হিসেবে এই সাংসদের ভোট চাওয়ার প্রমানাদি সংযুক্ত করে জমা দিয়েছে অভিযোগ কারী জেলা পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নিকট এই অভিযোগ জমা দেন তিনি।

 

 


অভিযোগে উল্লেখ্য করে জেলা পরিষদের সোনারগাঁ উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, আমি সোনারগাঁ সাবেক সদস্য হিসেবে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। গতবার আমাকে পরাজিত করতে না পেরে এবার আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তালা প্রতীকের আবু নাইম ইকবালের পক্ষ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা প্রকাশ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের আওতাধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।

 

 

একই সাথে সভা সমাবেশ করে আসতেছে। যা নির্বাচনী আইন বহির্ভুত এবং নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মাঝে পড়ে। এমনকি সে এমপি হওয়ায় আমাদের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট টিআর ও কবিখা কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বল প্রয়োগ করে তালা প্রতীকের প্রার্থী ইককবালের পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

 

 

তাই জনপ্রতিনিধিরাও তার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছে। সেই সাথে এই ভাবে একজন এমপি হয়ে লিয়াকত হোসেন খোকা প্রকল্পের নামে এই ভাবে জনপ্রতিনিধিদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘনের মাঝে পড়ে। জেলা পরিষদের হাতী মার্কার প্রার্থী জানান, আমি এই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকতার নিকট অভিযোগ দিয়েছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।

 

 


জেলা নির্বাচন অফিসার মতিউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের বাহিরে কেউ নয়। সে যেই হোক।

 

 


জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি ইতোমধ্যে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সাথে অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে বাকি আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

এই বিভাগের আরো খবর