রোববার   ০৫ মে ২০২৪   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

কর্মের হিসাবে মিলবে মনোনয়ন

রাকিবুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

# এমপি লীগ-ভাই লীগ নিয়ে নানা অভিযোগ

 

# সবার আমলনামা নেত্রীর কাছে আছে : নানক

 

 


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সংকল্পবদ্ধ আওয়ামী লীগ।  আর এ জন্য সারা দেশে প্রতিটি সংসদীয় আসন ধরে ধরে জরিপ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা চিরচেনা বিশ্লেষণ করে প্রতিটি সাংসদের বিষয়ে জরিপ করে এমপিদের আমল নামা প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে জমা দেয়া আছে।

 

 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ জরিপের কাজ মনিটরিং করছেন দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন ও আওয়ামী লীগের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, এবার কপাল পুড়ছে চলতি সংসদের ১৪০ সাংসদের।

 

 

জরিপে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, মামলা-হামলা করে হয়রানি, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে ‘এমপি লীগ ‘ভাই লীগ’ বলয় সৃষ্টি, জনবিচ্ছিন্ন, এলাকাবিমুখ, নিয়োগ, টেণ্ডার বাণিজ্য, জলমহাল-বালুমহাল দখল, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণসহ বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রভাবশালী এমপিদের নামও রয়েছে।

 

 

তাছাড়া বিভিন্ন ভূমিদস্যুতায় জরিত এমপিদের নামও রয়েছে। এই তালিকায় নারায়ণগঞ্জের এমপিদের নামও রয়েছে। তাই রাজনৈতিক যোদ্ধা মহল মনে করছেন নানা কর্মকান্ডে অভিযুক্ত হয়ে এখানকার এমপিরাও জড়িত রয়েছে। তবে তারা আগামী এক বছরে নিজেদের অবস্থান ক্লিন করার জন্য এখন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।  

 


নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে। টানা বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ কৌশলে এগোচ্ছে।

 

 

এরমধ্যে অগ্রাধিকার পাবে বিতর্কিত, জনবিচ্ছিন্ন এমপিদের বাদ দেওয়া এবং ক্লিন ইমেজ ও এলাকায় অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নৌকার প্রার্থী করা হতে পারে। ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বড় একটা পরিবর্তন আসছে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

তারই প্রতিফলন দেখা গেছে জেলা পরিষদ নির্বাচনে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ফনেক জেলায় পুরাতনদের বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের প্রধান্য দিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদেও সেই চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

 

কেননা এখানে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রান মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীলকে মনোনয়ন দিয়েছে।

 

যার নামে কোন বিতর্ক নেই ভারত থেকে এসে গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে কোনো নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন আনা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্রবিশেষে আমরা অবশ্যই যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে আর কার নেই। কে ভোট পাবেন, কে পাবেন না। এলাকায় কার জনপ্রিয়তা আছে তা আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এমপিদের উপর জরিপ করেছি।’

 

 

 

দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। কারণ, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত এমপিদের বাদ দিয়ে উজ্জ্বল ভাবমূর্তির প্রার্থীর হাতে নৌকা তুলে দিতে পারলে জয়ের ব্যাপারে নির্ভর থাকা যাবে।

 


দলের নিতি নির্ধারকরা মনে করেন, বিতর্কিত এমপিদের পরিবর্তন না করে আবারও তাদের মনোনয়ন দেওয়া হলে দলের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হবে, তেমনই ওই প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্নের মধ্যে থাকতে হবে দলের হাই কমান্ডকে।

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং দেশ-বিদেশে সবার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক, সেটাও প্রত্যাশা দলটির হাইকমান্ডের।

 

 

মুখে যাই বলুক বিএনপি দলের অস্তিত্ব রক্ষায় আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আর সে কারণে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো রকম ঝুঁকি নেবে না আওয়ামী লীগ। সে কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জনগণের ম্যান্ডেট নিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীর ওপর এবার ভরসা করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

 

 


এদিকে রাজনৈতিক সচেতন মহলে নারায়ণগঞ্জের এমপিদের কর্মকান্ড নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। সেই সাথে এখানকার এমপিদের আমলা নামাও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা আছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক যোদ্ধামহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, আগামী নির্বাচন দল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।

 

 

এখানে জেলার প্রভাবশালী এমপিদের কপাল পুড়তে পারে। শহরের চাদাঁবাজি, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রকল্পের টেন্ডারবানিজ্য নিয়ন্ত্রণ শহরের প্রভাবশালী এক এমপির লোকজন। তার অনুসারীদের এমপি লীগ, ভাই লীগ বলেও মন্ত্যব করেছেন খোদ দলীয় আরেকটি অংশ।

 

নারায়ণগঞ্জে ৪ আসনের সাংসদের বিরুদ্ধে দলের মাঝে বিভেদ তৈরী করে রাখার অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে তার অনুসারী দিয়ে জেলার টেন্ডার বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফতুল্লা থানাধীন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কমিটি না হওয়ার পিছনে দায়ী করছেন শামীম ওসমানের ব্যর্থতাকে।

 

সেই সাথে স্থানীয়দের অভিযোগ ৪ আসনে এমপির কার্যালয় না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানুষ তাকে সহজে পান না। তিন বারের এমপি হয়েও ফতুল্লার সবচেয়ে বড় সমস্যা জ্বলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যার্থ শামীম ওসমান। তার অনুসারীদের ভাই লীগ পরিহার করার আহবান জানিয়ে বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

 

 

দলের মাঝে তার অনুসারীরা গ্রুপিং করে কোন্দল তৈরী করে রাখে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যার চিত্র দেখে গেছে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড। তার অনুসারীরা নাসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

 

 

যার বেশির ভাগ পদে দায়িত্বে ছিলেন শামীম ওসমানের অনুসারিরা। এই সকল আমল নামা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা পরে আছে।একটি সুত্র জানান, নারায়ণগঞ্জে একজন এমপি যিনি এবার মন্ত্রী হয়েছেন তার বিরুদ্ধেও এলাকায় ভূমি দখলসহ নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলো এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে।

 

 

তার বিরুদ্ধেও নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন এবং তিনিও মনোনয়ন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।জানা যায়, নাসিক নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের হাই কমান্ড থেকে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য কেন্দ্র থেকে আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে আহবায়ক করে একটি কমিটি কাজ করে।

 

 

তখন নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় নৌকার প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় তিনি তার বক্তব্যে শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করেন সামনে মনোনয়ন চাইয়েন। আমি থাকতে মনোনয়ন পাইবেন না।

 


 
প্রভাবশালী সাংসদ শামীমকে উদ্দেশ্য করে গত তিন সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নাসিক মেয়র আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে আওয়ামীলীগের সূথিকাগার। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও তা জানেন। এখনতো নারায়ণগঞ্জ এক নেতার এক দেশ হয়ে গেছে।

 

শহরের এক নেতা প্রভাব বিস্তার করে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তিনি নিজে দলের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছেন। অথচ এখানে এসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। যার নাম নিশানা কোন কিছু নাই তাকে এনে সোনারগাঁয়ের এমপি বানিয়ে রেখেছে। আমরা সোনারগাঁয়ে নৌকার প্রার্থী চাই।

 


 
অন্যদিকে গত মাসে ২৭ আগষ্টের সমাবেশে সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, সরকারকে হটানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই সভায় নেন্ত্রী আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

 

অথচ এই সাংসদকে নিয়ে খোদ দলীয় নেতাদের মাঝে কোন্দল তৈরী রাখা অভিযোগ রয়েছে। যার প্রতিফলন হিসেবে ফতুল্লার চারটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি এখনো হচ্ছে না। তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে নেতা কর্মীরা।

 


 ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলের মন্ত্রী-এমপিদের কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহের এ কাজটি নিয়মিতই করা হয়। তাদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং অতীতেও হয়েছে। কিন্তু অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপি।

 

 

তারা বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের আওয়ামী লীগে এনে যেমন পুনর্বাসন করেছেন, তেমনই আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশেষ বলয়। তাদের ভেদ করে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে যেতে পারেন না আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। অনেকেই এমপি নির্বাচিত হয়ে ঢাকায় বসে ‘সন্ত্রাসী ও মাস্তান’ দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন।

 

কারও কারও বউ, শ্যালক, ভাই, আত্মীয়স্বজন ‘ছায়া এমপি’ হয়ে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীন দলেও তার চিত্র পেয়েছে দলীয় হাই কমান্ড। এছাড়া রূপগঞ্জের এক এমপির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

 


সচেতন রাজনৈতিক মহল জানান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। তারা এবার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হবে এ ভাবনা নিয়ে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ।

 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের চমক দেখাবেন এবং যার কাজকর্ম নিয়ে ন্যূনতম বিতর্ক রয়েছে তাকে তিনি বাদ দেবেন। লক্ষ্য হলো- ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভোটের মাঠে দাঁড়ানো।

 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে কী গুরুত্ব পাবে এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে দিতে হবে। অবশ্যই সৎ, নির্ভীক, এমন প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’

 

 

নানক আরও বলেন, ‘যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাদের ব্যাপারে সার্ভে চলছে। সবার আমলনামা নেত্রীর কাছে আছে। বারবার মাঠ জরিপ করে তিনি আমলনামা নিচ্ছেন। সেই আমলনামা অনুসারে কোনো এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তিনি রেহাই পাবেন না। যত বড় নেতাই হোন, আর যত বড় যেই হোন কেউ রেহাই পাবেন না।’

 

 

 

তার কথার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি যে নাসিক নির্বাচনে বক্তব্য দিয়ে এখানকার প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আগামীতে কিভাবে এমপি মনোনয়ন পান তা আমি বেচেঁ থাকতে দেইখা দিবো। আমি থাকতে মনোনয়ন পাইবেন না।

 

তাই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এই সাংসদের এবারন কপাল পুড়তে যাচ্ছে। তবে সব কিছু জানা যাবে আগামী নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বোর্ড যখন সিদ্বান্ত নিবে তখন।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর