শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অর্ধেক রমজানেও কমেনি দাম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৪  


তরমুজ মোটামুটি সবারই পছন্দের একটি রসালো ফল। রমজানের ইফতারসূচিতে তরমুজ কমবেশি সবাই রাখতে পছন্দ করেন। রমজান মাস শুরু হলে তরমুজের চাহিদার পাশাপাশি সরবরাহ আরও বেড়ে যায়।

 

 

তবে বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা লক্ষ করলে দেখা যায় সব রকমের ফলের দাম সাধারন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ভোক্তাদের ভাষ্যমতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা চক্র আকারে তাদের সুবিধার্থে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে। পাশাপাশি রমজানে কলার চাহিদা বাড়ার কারনে আড়তে ও খুচরা বাজারে চ[ড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কলা।

 


তরমুজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। একটু ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৩০০ টাকা দরে। মাঝারি আকারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা দরে। আর বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

 


শাহজাহান নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজানে যে ছেলে মেয়েদের কয়েকটুকরো ফল কিনে খাওয়া সেটা আমাদের মতো সাধারন মানুষের সাধ্যের বাহিরে। রমজানের কারনেই তো দাম এত বেড়েছিলো। এখন তো ১৫ রোজা চলে গেছে কিন্তু দাম তো কমে নি ভাই। এখনও ছোট একটা তরমুজও কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়।

 


রাজু আহম্মেদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, তরমুজের বর্তমান যা দাম তা এখনো সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। বড়লোকেরা সহজেই কিনতে পারছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত কিনতে পারছে না। মূল ঝামেলা তৈরি করে খুচরা বিক্রেতারা। তারা পাইকারী কিনে এনে আকার, আকৃতি বিভিন্ন অজুহাতে যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে। যে কারণে ১শ-২শ টাকায় কিনে আনা তরমুজ ভোক্তা পর্যায়ে আসতে গিয়ে ৬০০-৭০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।

 


অন্যদিকে কলার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি হালি কলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। রমজান শুরু হওয়ার আগেও খুচরা বাজারে প্রতি হালি কলার দাম ছিল ২০-৩০ টাকা। নারায়ণগঞ্জের চারারগোপের ফলের আড়তে প্রতিটি কলার ছড়িতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

 


কলা কিনতে আসা করিম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাড়িতে বৃদ্ধ মা। ওনি একটু দুধ কলা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করে আর সেহেরীর সময় সেই দুধকলা দিয়ে ভাত খেয়ে রোজা রাখে তাই দু-দিন তিন পর পরই আমি বাসায় কলা কিনে নিয়ে যাই। কিন্তু রোজা ১৫ টাকা চলে গেছে আর বাকি গুলো বলতে বলতে চোখের পলকে চলে যাবে। কিন্তু এখনও পাইকারি বলেন আর খুচরায় কোনো জায়গায়ই দাম কমার কোনো নাম গন্ধ নাই।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর