শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে আলোচনা সভা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২  

 

‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পহেলা অক্টোবর আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে আলোচনা সভা ও র‌্যালি হয়েছে।  শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান সরদার।  সহকারী পরিচালক মো. সোলায়মানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন মিয়া, কেএম ইশমাম, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক তালুকদার, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের চিকিৎসক আতিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

 

 


আলোচনা সভায় বক্তারা, প্রবীণরা অবহেলিত। তাই প্রবীণদের কল্যাণে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও হাসপাতালে সেবা বাড়ানোর তাগিদ দেন তারা। আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে র‌্যালি বের করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক তালুকদার বলেন, ‘প্রবীণরা আমাদের সমাজে অবহেলিত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পরিবার, সমাজ থেকে প্রবীণদের সম্মান করতে হবে। সমাজে তাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। জীবনের শেষ বয়সে প্রবীণরা পরিবারের সঙ্গে থাকতে হয়। কোন প্রবীণকে পরিবার ছেড়ে যাতে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয় সেজন্য সচেতন হবে এবং উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের খাওয়া দাওয়া ও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে হবে।’

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি বলেন, ‘প্রবীণ হাসপাতালে প্রতি মাসের শেষ মঙ্গলবার প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে।’ আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘প্রবীণরা আমাদের সমাজ ও দেশের সম্পদ। তাই তাদের প্রতি অবহেলা নয়, যথাযথ সম্মান দিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠি অবহেলিত। এ কারণে সরকার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন করেছেন। ছেলে-মেয়ের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, যাতে কোন পিতা-মাতাকে প্রবীন নিবাসে যেতে না হয়।’ তিনি বলেন, ‘আজকে যারা নবীন, আগামীতে তারাই প্রবীণ। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগাতে হবে। প্রবীণদের পরামর্শ সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। তাহলে আমরা উন্নত জাতিতে পরিণত হতে পারবো। তিনি প্রবীণদের কল্যানে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর