শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এবার আন্ডারগ্রাউন্ডে দাউদ সোহেল, সক্রিয় রাজু

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৪  

 

রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ওরফে দাউদ সোহেল ও তার বাহিনী। এছাড়াও রয়েছে কথিত সংবাদকর্মী ও কতিপয় অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পরোক্ষ সহযোগীতা।

 

যুগের চিন্তায় তার মাদক বেচাবিক্রি প্রসঙ্গে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এবার আন্ডরগ্রাউন্ডে চলে গেছে দাউদ সোহেল ও ডাকাত সাহাবুদ্দিন। এর আগে, পত্রিকা হাতে দম্ভোক্তি নিয়ে সোহেল বলেছিল, ‘যেখানে যা দেওয়ার তা দিয়াই এই দ্যাশে মাদক বেচি।’ এবার তার হয়ে পুরো সিন্ডিকেট সামাল দিচ্ছে রাজু নামের এক কথিত নেতা। অভিযোগ রয়েছে, ফতুল্লা থানা যুবলীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলাফেরা করে রাজু।

 

এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে, ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এবারে গা ঢাকা দিয়েছে দাউদ সোহেল ও ডাকাত সাহাবুদ্দিন। কথিত নেতা রাজুর নেতৃত্বে ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর ইয়াদ আলী মসজিদ থেকে শুরু করে পুরো রেললাইন জুড়ে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বেচাবিক্রি করছে মাসুদ, বকুলির ছেলে গোলাম রাব্বী ওরফে কাল্লু, জসিম, সাব্বির, সাগর ও সাইফুল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতুল্লার শিয়াচর ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে সোহেল ওরফে দাউদ সোহেল। আর দাপা মসজিদ এলাকার মৃত মহিউদ্দিনের পুত্র সাহাবুদ্দিন ওরফে ডাকাত সাহাবুদ্দিন। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি বর্তমানে ডিজিটাল সব মাধ্যম ব্যবহার করে ফতুল্লার শিয়াচরে হাজার পিস ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে চলেছে।

 

অভিযোগ আছে, প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর শিয়াচরের ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকায় দাউদ সোহেলের আড্ডাখানায় পুলিশ ও ডিবির কতিপয় সদস্যের আনাগোনা হয়। মূলত এ কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েত ও সচেতন নাগরিকদের কেউ বাধা প্রধান করলে তাদের পুলিশ-ডিবি দিয়ে হয়রানি করার দুঃসাহস দেখাতে পারে সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি, বলছেন খোদ এলাকার মসজিদ কমিটির লোকজন। যদিও ধারাবাহিকভাবে পুলিশ বলছে,  খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, কার্যত এখনো পর্যন্ত কোন সুফল পায়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও মসজিদ কমিটির লোকজন।

 

সূত্র বলছে, শুধু মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে এরই মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ফতুল্লা শিয়াচর এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট সোহেল ওরফে দাউদ সোহেল। দক্ষিণ শিয়াচরের ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকা থেকে পুরো রেললাইন জুড়ে শুধু তারই রাজত্ব। নিজ বলয়ের অন্তত ১৫ থেকে ২০ যুবকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ওই এলাকায় নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে দাউদ সোহেল। যাদের নিত্যদিনের খরচ থেকে শুরু করে ঘরভাড়া পর্যন্ত বহন করে সে।

 

এর মধ্যে, দাউদ সোহেলের নিয়ন্ত্রিত খুচরা মাদক সরবরাহকদের মধ্যে রয়েছে, বকুলির ছেলে গোলাম রাব্বী ওরফে কাল্লু, জসিম, সাব্বির, সাগর ও সাইফুল। আর পুরো এই বাহিনী তথাপি দাউদ সোহেলকে মাদক ও শেল্টার দিয়ে সহযোগীতা করছে ফতুল্লার চিহ্নিত ডাকাত সর্দার সাহাবুদ্দিন। এতোকিছুর পরেও কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় চিন্তিত শিয়াচরের পঞ্চায়েত ও মসজিদ কমিটির লোকজন। তাদের দাবি, কোনভাবেই যেনো থামানো যাচ্ছে না দাউদ সোহেলকে! বরং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে জেল খাটার হুমকি পেতে হয় বলে দাবি করছেন তারা। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর