শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পিচ্চি মাসুম ও ইয়াবা সুন্দরীর নেতৃত্বে জমজমাট মাদক কারবার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

 

ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে পুরনো রূপ ফিরে পেয়েছে নগরীর জিমখানা ও মন্ডলপাড়া এলাকার প্রকাশ্য মাদক কারবার। এক সময়কার জুয়ার আসরের প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রক মাসুম ওরফে পিচ্চি মাসুম ও আলো ওরফে ইয়াবা সুন্দরীর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন খুচরা মাদক বিক্রেতা দেদারসে বিক্রি করছে ইয়াবা ও গাঁজা।

 

অভিযোগ আছে, সবকিছু প্রকাশ্যে হলেও বরাবরের মতোই নীরব ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনতিবিলম্বে দুর্ধর্ষ এই মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সদর থানা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন নাগরিকরা।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত কোটি টাকার শেখ রাসেল পার্কের আশপাশ ও জিমখানা, মন্ডলপাড়া এলাকায় দিনে দুপুরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মরণনেশা। জিমখানার আলী হোসেনের মেয়ে আলো এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের এক সময়কার জুয়া সম্রাট পিচ্চি মাসুমের নিয়ন্ত্রণে সেখানে খুচরা মাদক বিক্রি করে থাকে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন সেলসম্যান।

 

আরও জানা যায়, আলো ও মাসুমের মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য শাহ আলম। মহল্লাবাসীর ভাষ্য মতে, এই শাহ আলম বিএনপির নাশকতার মামলার আসামী। মাদকের সব বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সু-কৌশলে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসার কাজ করেন পিচ্চি মাসুম ও তার সহযোহী শাহ আলম। পরবর্তীতে ওইসব মাদক নিজ সন্তান তানভীর ওরফে টুন্ডা তানভীরকে দিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে আলো ওরফে ইয়াবা সুন্দরী।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পিচ্চি মাসুম মূলত একসময়কার চিহ্নিত জুয়া সম্রাট। নগরীর বিভিন্ন জুয়ার স্পটের স্ব-ঘোষিত নিয়ন্ত্রক ছিল সে। সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসাধু সদস্যদের মাসোহারা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সাথে বেশ সখ্যতা তৈরি হয় তার। ঠিক সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকের এতো বড় সাম্রাজ্য পরিচালনা করছে মাসুম ওরফে পিচ্চি মাসুম।

 

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সব সময়ই এই এলাকায় পুলিশের গাড়ি যাওয়া আসা করে। তারপরেও কেনো এই চিহ্নিত স্পটে চিরতরে মাদক বেচাবিক্রি বন্ধ হচ্ছে না? বিষয়টা রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে! অনতিবিলম্বে এই বিষয়ে সদর থানা পুলিশের জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা সেখানে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করি। এমনকি প্রায় সময় সেখান থেকে মাদকদ্রব্যসহ অনেককেই আটক করা হয়। তাহলে কেনো মাদক বেচাবিক্রি বন্ধ হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমি বিষয়টি দেখছি। এই বিষয়ে কোন আপোষ নয়। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর