শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রয়াত মমতাজ বেগম স্মরণে সুফিয়ানের আয়োজনে ১১টি মসজিদে দোয়া

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১  

নারায়ণগঞ্জের বিলুপ্ত পৌরসভার পৌর পিতা আলী আহম্মদ চুনকা’র সহধর্মিনী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মাতা মমতাজ বেগমের স্মরণে শহর ও বন্দরের ১১টি মসজিদে একত্রে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৩০ জুলাই বাদ জুম্মা একত্রে ১১টি মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান।

 

তিনি জানান, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী একজন যোগ্য অভিভাবককে হারিয়েছে। তিনি ছিলেন যোগ্য একজন নারী। সংসারে তার স্বামী আলী আহম্মদ চুনকা সাহেব নারায়ণগঞ্জের পৌরপিতা খেতাব অর্জন করেছেন। তারই যোগ্য মেয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে মেয়র আইভীও এখন মানবতার নেত্রী ও নগরমাতা হিসেবে খেতাব অর্জন করেছেন। নিজ কর্মে নিজ মহিমায় নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

 

সুফিয়ান আরো বলেন, কখনো হয়নি জয়ী পুরুষে তরবারী, শক্তি জুগিয়েছেন সাহস জুগিয়েছেন বিজয় লক্ষ্মী নারী। চির প্রচলিত এই কথাটি প্রমাণ করেছেন মমতাজ বেগম। তার উৎসাহ উদ্দিপনা এবং সহযোগিতা স্বামীকে যেভাবে সাহস জুগিয়েছে সময় দিয়েছে, তেমনি ৮৪ পরে আলী আহম্মদ চুনকা ভাইয়ের ইন্তেকালের পর পুরো পরিবারটিকে তিনি যেভাবে আগলে রেখে মাতৃস্নেহে সন্তানগুলো মানুষ করেছেন প্রতিটি সন্তানই সু-মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তার কোন সন্তানের গায়ে কলঙ্ক নেই। তার সন্তান নগর মাতা আইভী, সারা বিশ্বে আজ যেখানেই বাঙালী আছেন, সেখানে আইভীকে চিনে। একজন কর্মঠ স্থিতিশিল এবং সৎ নেত্রী হিসেবে আইভীর মত সন্তান জন্ম দিয়েছেন, সে মা তো অবশ্যই রত্মগর্ভা।

 

তিনি চলে যাবার মাধ্যমে শুধু তার পরিবারই নয়, শোকাহত নারায়ণগঞ্জবাসী ও শোকাহত আওয়ামীলীগ পরিবার। চুনকা থেকে শুরু করে আইভী পর্যন্ত যত নেতাকর্মী ও জনগণ এবং আওয়ামীলীগের পরিবারের চুনকা কুটিরে আসা যাওয়া করেছেন তাদের তিনি রান্না করে খাবার খাইয়েছেন। যে স্নেহ আমাদের দিয়েছেন সত্যিকার অর্থে আমরা এক মাতৃস্নেহ হারালাম। মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন, এই দোয়া আমার করি। আমাদের যোগ্য অভিভাবক মমতাজ বেগমের মাগফেরাত কামনায় বাদ জুম্মা শহর ও বন্দরের ১১টি মসজিদে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

যেসব মসজিদে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে, বন্দর কদম রসূল দরগা, নবীগঞ্জ কবরস্থান মসজিদ, ছালেহ বাবা মাজার জামে মসজিদ, দেওভোগ বড় জামে মসজিদ (শুক্কুরকারী), সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদ, ১নং বাবুরাইল জামে মসজিদ, ফকির টোলা জামে মসজিদ, সিকিম আলী জামে মসজিদ, দেওভোগ পানি ট্যাংকি জামে মসজিদ, দেওভোগ আখড়া মসজিদ ও বেপারীপাড়া জামে মসজিদ।
 

এই বিভাগের আরো খবর