শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বদলে গেছে না.গঞ্জ শহরের সার্বিক চিত্র

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪  


# তিন নেতা ও প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা নগরবাসীর নজর কেড়েছে
এবার সত্যি সত্যি অনেকটাই বদলে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের সার্বিক চিত্র। আপাতত শহরের কোথাও কোনো যানজট নেই, যানবাহনে শৃংখলা ফিরেছে এবং ফুটপাতগুলি রয়েছে হকারমুক্ত। যার ফলে নগরবাসী অনেকটাই বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারছেন। স্বস্তি ফিরেছে এই নগরীর সাধারন মানুষের মাঝে।

 

 

যদিও শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসাবে পরিচিত নবার সলিমুল্লাহ সড়কের এক পাশে হকারদের বসতে দেয়া হচ্ছে এবং এভাবে বসাটাকে সমর্থন করছেন না নগরীর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তারপরেও সারা শহরের পরিস্থিতি একেবারে বদলে যাওয়ায় মানুষ এ ব্যাপারে ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে ধারনা পাওয়া গেছে। কারন হকাররা একটি অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করার পর এই সড়কে বসার অনুমতি পেয়েছে।

 

 

অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী এরা আগামী কুরবানীর ঈদ পর্যন্ত হলিডে মার্কেট হিসাবে সলিমুল্লাহ সড়কের ফুটপাতে বসবে। তারপর তারা আর এই শহরের কোনো সড়কেই বসবে না। তারা তখন কেবল তাদের জন্য নির্ধারিত হকার্স মার্কেটেই বসবে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সাথে তারা এই ধরনের অঙ্গীকারনামায় সই করার পর থেকেই মূলত এই শহরে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

 


এদিকে বিগত ৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজট মুক্ত করার জন্য একটি গোলটেবিল বৈঠক করার পর থেকে দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে চিত্র। নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। ফুটপাত ও রাস্তাগুলো হকারমুক্ত করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহন করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

 

 

পাশাপাশি সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান হকারদের আবদার অন্যায্য হলেও তিনি বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য এই বিকল্প প্রস্তাবনা তৈরী করেন। আর এই বিকল্প প্রস্তবনার অংশ হিসাবেই নারায়ণগঞ্জ শহরে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে নগরবাসী মনে করেন। হকাররা একটি নির্ধারিত সড়কে সপ্তাহে দুইদিন হলিডে মার্কেট হিসাবে বসার অনুমতি পেয়েছে।

 


অপরদিকে নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের গোলটেবিল বৈঠকের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের একটি সুন্দর সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই বৈঠকের পর আরো একাধিকবার এই শহরের রাজনীতিতে বৈরি ভাই-বোন হিসাবে পরিচিত শামীম ওসমান ও আইভীর মাঝে যোগাযোগ হয়েছে।

 

 

আইভীর সাথে শামীম ওসমান টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজট মুক্ত রাখার ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকারের পূনর্ব্যাক্ত করেছেন। এছাড়া পুলিশ সুপারের বাসভবনে আরো একটি অনুষ্ঠানে আইভী ও শামীম ওসমান এক সাথে বসেছেন।

 

 

ওই অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান, গাজী গোলাম দস্তগীর, কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক এবং নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনও উপস্থিত ছিলেন। মূলত এভাবেই এই শহরে এখন সৌহার্দ্য সম্প্রীতির পরিবেশ বিরাজ করছে। যার সুফল নগরবাসী পেতে শুরু করেছে।

 


এদিকে অবৈধ দখলদার হকাররা বার বার নানা ভাবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের আনুকুল্য পাওয়ার চেষ্ঠা করেছে। কিন্তু এবার শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থ এবং অধিকার প্রশ্নে অনড় ছিলেন এবং আছেন বলে জানা গেছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠানে যে অঙ্গীকার করেছেন সেই অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি।

 

 

যার ফলে হকাররা শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমানের সমর্থন না পেয়ে সেলিম ওসমানের প্রস্তাবনা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেই এই শহরের সাধারন মানুষ মনে করেন। তাই সিটি করপোরেশনের মেয়র, দুই এমপি ও প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্ঠার কারনেই নগরবাসীর মাঝে ইতিবাঁচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর