শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মৃত্যুর দায় এড়াতে ছলচাতুরী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৪  

 

# খানপুর জাহান ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু

 

নগরীর খানপুর ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কয়েক শ’ গজ দূরে বেসরকারি জাহান ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ২ মাস পূর্বে ডেলিভারি করানোর কারণে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নগর খানপুর জাহান ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সকালে খানপুর কাজীপাড়া বটতলা এলাকার মেইন গেইটের সামনে এই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেন সদর থানা পুলিশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের একজন স্পেশাল আয়া ও দালালকৃত রানীর বোনের সাথে নবজাতকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সেই খানপুরের দালালকৃত আয়া রানীর কাছে নিয়ে গেলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে জাহান ক্লিনিকে যায়। পরে সেই ক্লিনিকে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন ডিপ্লোমা ছাড়াই পরিচালক বনে যাওয়া সিফাত আক্তার চেকাপসহ নানা কাগজ পত্র দেখে বুঝতে পারে ডেলিভারীর আরো ২ মাস বাকি আছে।

 

তারপরে ও তিনি ঔষধ খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নরমাল ডেলিভারি করেন। বাচ্চা ডেলিভারির পর তাদের রিলিস দেওয়া হলে সকালে সেই নবজাতকের লাশ খানপুর কাজিপাড়া বটতলার গেইটের সামনে পাওয়া যায়। পরে এলাকাবাসী কোন স্বজন না পেয়ে সদর থানার পুলিশকে কল দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। পরে বিকালে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে পুলিশ জাহান ক্লিনিকে অভিযান করে সেখান থেকে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

 

আরো জানা গেছে, হাসপাতালের পরিচালক সিফাত বাচ্চাকে সুস্থ দেখে মহিলাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়। আবার নিহত নবজাতকের নানীর দাবি, বাচ্চা হওয়ার পর অসুস্থ থাকায় হাসপাতালের লোকেরা আমাদের তাড়াহুড়া করে রিলিজ দেয়। তাহলে কিভাবে সেই নবজাতকের লাশ কয়েক’শ গজ দূরের কাজিপাড়া আরো কয়েকটি নামাদামী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সামনে পাওয়া গেলো তা নিয়ে চলছে নানা প্রশ্ন। কয়েকদিন পরপরই খানপুরে হাসপাতাল ও ডায়ানস্টিক নিয়ে চলছে নানা ছলচাতুরী।

 

এর আগে গত ২০১৫ সালের (২৮ এপ্রিল) এই জাহান ক্লিনিকে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পাওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজমের নেতৃতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এই ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিলো। আর আটক করা হয়েছে ক্লিনিকের ম্যানেজার ও ওষুধ পাচারকারি একজনকে। পরবর্তীতে নানা ম্যানেজের মাধ্যমে আবারো সিলগালা খুলে আবারো পরিচালনা করেন ক্লিনিকের মালিক ডা. জাহেদ হোসেন তারেক।

 

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা জাহান ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নবজাতক মৃত্যু ও আরেক হাসপাতালের সামনে ফেলে দেওয়া ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক সিফাত আক্তার ও নিহত নবজাতকের মা ও নানীসহ যার দ্বারাতে হাসপাতালে এসেছিলো সেই মহিলা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর