লালপুরে জলাবদ্ধতার নেপথ্য কারণ
যুগের চিন্তা অনলাইন
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১
জলাবদ্ধতার দুঃসহ ভোগান্তিতে নিমজ্জিত ফতুল্লার লালপুর সহ আশপাশের এলাকা। বৃষ্টি না হলেও এসব এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়ক থাকে পানির নিচে। আর বৃষ্টির মৌসুমে নৌকা দিয়ে চলালের ঘটনা বহু পুরনো। দূর্ভোগ লাঘবে গত প্রায় ৪ বছর পূর্বে ফতুল্লার পূর্ব লালপুর বাংলাদেশ খাদ এলাকায় শক্তিশালী পাম্প স্থাপন করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল ও স্থানীয় বৃত্তবান কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় বর্তমানে ৫০ ঘোরা ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ও ২৫ ঘোরা শক্তিমত্তার ২টিসহ মোট ৩টি পাম্প রয়েছে লালপুরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য। তবে, এরপরও জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না।
এর নেপথ্য কারণ হিসেবে জানা গেছে, এদিকে, লালপুর ডিএনডি এলাকার অর্ন্তভুক্ত হলেও ডিএনডি প্রজেক্টের আওতায় লালপুরকে যোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে এসব এলাকার দখলকৃত খালগুলোও উদ্ধার হচ্ছে না। তাই বৃষ্টি না হলেও গৃহস্থালি ও ডাইংয়ের পানি প্রবাহিত না হয়ে আটকে যাচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, বৃহত্তর লালপুর ও বাংলাদেশ খাদ এলাকার জলাবদ্ধতা দূরিকরণের জন্য পূর্ব লালপুরে ৩টি পাম্প স্থাপন করা হলেও কেবল ওই এলাকাই নয়, অপসারণ করতে হচ্ছে বৃহত্তর ইসদাইর, গাবতলী, টাগারপাড়, দক্ষিন দাপা ইদ্রাকপুর ও পশ্চিম কোতালেরবাগসহ আশপাশের এলাকার পানিও। এসব এলাকা অপেক্ষাকৃত নিন্মাঞ্চল হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মাসদাইর এলাকাসহ উচু এলাকার বৃষ্টির পানিও চলে আসছে এখানে। তাছাড়া, পূর্ব লালপুরের জনি ডাইং ও ফতুল্লার আজাদ ডাইংসহ ফতুল্লার লালপুর ও আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠা প্রায় অর্ধশত ডাইং ও প্রিন্টিং কারখানার তরল বর্জ্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের পয়ঃনিস্কাশনের পানিও চলে আসছে লালপুরে। ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে পানির চাপ। এসব পানি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নদীতে যাওয়ার কথা থাকলেও খালের বিভিন্ন অংশই দখলের কবলে পড়েছে। তাছাড়া, রেললাইনের কারণেও তা বাঁধের ভূমিকায় পরিণত হয়েছে। ফলে অনেকত্রেই এই বিস্তীর্ণ এলাকার নানাবিধ পানি প্রবাহ বন্ধ থাকছে। বিস্তীর্ণ এলাকার এসব পানি নিস্কাশন করতে হচ্ছে পূর্ব লালপুর বাংলাদেশ খাদ এলাকায় অবস্থিত ওই ৩টি পাম্প দিয়ে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ৩টি পাম্প থাকলেও নিয়মিত সচল থাকে ৫০ ও ২৫ ঘোরা ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি পাম্প। অপর একটি ২৫ ঘোরা ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাম্প রাখা হয়েছে রিজার্ভে। এর মধ্যে ৫০ ঘোরা ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পটিতে ৮ ইঞ্চি এবং ২৫ ঘোরা ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পে রয়েছে ৬ ইঞ্চি পাইপ। বৃহত্তর লালপুর, ইসদাইর, টাগারপাড়, গাবতলী, বাংলাদেশ খাদ ও আশপাশের বিস্তীর্ন এলাকার নানাবিধ পানি ওই দুই পাম্প দিয়ে নিরসন করা যাচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি হলে পানিতো থাকছেই, অনেক ক্ষেত্রে শুস্ক মৌসুমেও ডাইং কারখানা ও গৃহস্থালির পানি সরছে না। জানা গেছে, শুস্ক মৌসুমে নিয়মিত পাম্প চালানো হয় না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ফলে ডাইং কারখানা ও গৃহস্থালির পানিতেই সয়লাব হয় লালপুর। শুস্ক মৌসুমে পানি থাকার নেপথ্য কারণও এটি। তাই পাম্প চালক আলী হোসেনের ভাষ্য, ‘বর্তমান পাম্পের সাথে থাকা ৮ ইঞ্চি ও ৬ ইঞ্চির দুটি পাইপই পরিবর্তন করে তা ১২ ও ১০ ইঞ্চি পাইপে বৃদ্ধি করা গেলে আরো দ্রুত সময়ে পানি নিস্কাশন হবে।’
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব লালপুরে অবস্থিত পাম্পের বৈদ্যুতিক বিল ৬২ লাখ টাকা বকেয়া জমেছে। ইতিপূর্বে বকেয়া বিলের জন্য ৪ বার বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিয়েছিলো ডিপিডিসি। মাত্র তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ বিল জমা পড়ায় তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে অনেকে।
জানা গেছে, ৩টি পাম্পের জন্য ২টি বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফুর রহমান স্বপনের নামে। মাসে মাসে তার নামেই বিল আসে বিদ্যুতের। এখনো পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার বিল দিয়েছেন তিনি। তাও আবার সড়ক সংস্কারের একটি প্রকল্প থেকে আসা কাজের অর্থ থেকে ওই ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপরও গত এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পড়ে আছে ৬২ লাখ টাকা। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় অনেক সময়ই বন্ধ রাখা হয় পাম্প। ফলে নিয়মিত পাম্প না চললে আবারও বাধে জলাবদ্ধতা।
এদিকে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ পাম্প পরিচালনার জন্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি কমিটিও করা হয়েছে। ওই কমিটি লালপুর এলাকার বাড়ি ওয়ালাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ২শ’ টাকা করে নিচ্ছে। মাসে উত্তোলন হওয়া অর্থ থেকে ১৫ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে পাম্প চালক ও সহকারির বেতনের খাতায়। বাকি টাকা দিয়ে পাম্পের আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন, কমিটির প্রধান মো. সাইদুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার মো. মাইনুদ্দিন ও সদস্য গিয়াস উদ্দিন। তারা জানান, ইতিপূর্বে বছরে ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা করে উত্তোলন করা হতো। কিন্তু ওই টাকা দিয়ে সম্পূর্ন ব্যায় মেটানো সম্ভব না হওয়ায় গত দু’মাস যাবত মাসে মাসে ২০০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদের দাবি এলাকায় বিপুল সংখ্যক বসতবাড়ি থাকলেও মাত্র দুইশত থেকে আড়াইশত বাড়ির মালিকেরা মাসিক চাঁদা দিচ্ছে।’
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফুর রহমান স্বপন দৈনিক যুগের চিন্তাকে জানান, ‘৬০-৬২ লাখ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া জমেছে। এই টাকা কিভাবে পরিশোধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সাংসদ শামীম ওসমান ভাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা মেডামকেও জানিয়েছি। তারা একটা সমাধান করবেন বলে বিশ্বাস করি। আপাতত নতুন মিটার আনতে চেয়েছিলাম। মাসে উত্তোলন হওয়া টাকা থেকে প্রতিমাসে আসা নতুন মিটারের বিল পরিশোধ করে পূর্বের মিটারের বকেয়া বিল সময় নিয়ে পরিশোধ করার একটা পরিকল্প না করা হয়েছিলো। কিন্তু পূর্বের মোটা অংকের বকেয়া বিল থাকায় এখন ডিপিডিসি থেকে নতুন মিটার দিতে চাইছে না।’
এই বিষয়ে ফতুল্লা ডিপিডিসির প্রকৌশলী মো. মাঈনুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে যুগের চিন্তাকে তিনি বলেন, ‘বকেয়া বিল থাকলেতো আমরা নতুন মিটার দিতে পারি না। বকেয়া পরিশোধের জন্য তাদের বলা হয়েছে। চিঠিও দিয়েছি। বিল পরিশোধ না হলে স্বাভাবিক ভাবেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। আর এই বিল মৌকুফ করার মত কোন সুযোগও নেই।’
- আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে অধিকার আদায় করতে শিখেছি : সাউদ নুর
- শামীমকে খুশি করতে আইভীকে আক্রমন
- ঝুট সন্ত্রাসী অনিক বাহিনী বেপরোয়া
- গর্জন দিয়ে নীরব
- চেয়ার চায় রাজাকারের উত্তরসূরি
- সদরে নির্বাচন না হলে লাভ কার?
- বন্দরে খেলারামদের খেলা শুরু
- রাত ৮টার পর সকল মাকের্ট ও দোকান বন্ধ ঘোষণা
- গ্যাস কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ!
- তীব্র তাপদাহে দিনমজুর শ্রমিকরা খুঁজছেন শীতল প্রহর
- তীব্র তাপে রাস্তা-ঘাট শূন্য
- ফতুল্লার গাবতলীর মোফাজ্জলে পরিত্যাক্ত বাড়ি মাদকের হাট
- “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর” সুপেয় পানি বিতরণ
- নৌপথে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পদের মালিক চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার
- ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির ঈদ পূর্নমিলন অনুষ্ঠান
- শেখ রাসেল পার্ককে পতিতালয় বলায় বিক্ষুব্ধ না.গঞ্জবাসী
- স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কুপোকাত মাকসুদ
- উপজেলা নির্বাচনে উধাও তৈমুরের তৃণমূল বিএনপি
- তাহলে এই নাটকের মানে কী?
- কেউ জানে না কোন কিছু
- কাঁচপুর থেকে মেঘনা অরক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ইউপি সদস্য নার্গিস আক্তারের স্বামীর মৃত্যুতে সাবেক এমপি খোকার শোক
- বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসুল্লিরা
- প্রখর রোদেও থেমে নেই রিকশার প্যাডেল
- মারাত্মক অনিয়মে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে
- “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর” সুপেয় পানি বিতরণ
- বড় রাজুর শেল্টারে সাল্লু-হীরা
- হিরণে ধ্বংসের পথে বন্দর উপজেলা বিএনপি
- ‘সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিজয়ী হবো’
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- এমপির সন্তান হুইপের আত্মীয়রাই ফ্যাক্টর
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- সুফিয়ানকে চাপে ফেলার কৌশল
- পরিত্যক্ত গুদামে যুবকের লাশ
- তাহলে এই নাটকের মানে কী?
- আইভীকে হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্ধ আ.লীগ
- অনলাইনে কালামের মনোনয়নপত্র জমা
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম
- সোনারগাঁ-রূপগঞ্জ নির্বাচনে আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- প্রফুল্ল আজাদ-নাজিম
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- বন্দরে অবশেষে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান
- আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা
- একজন নুরুজ্জামান খাঁনের অপেক্ষায় রূপগঞ্জবাসী
- ‘এই গরমে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ’
- আড়াইহাজারে হাত-পা বেধে অটো চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই
- শিশু আলিফকে নির্যাতনের পর হত্যা, লাশ বুকে নিয়ে মর্গে বাবা
- সরকারি ত্রাণ কার্ডের জন্য অর্থ নিচ্ছেন ইউপি সদস্য ও আ’লীগ নেতা!
- তুইসহ তোর দুই বাচ্চার লাশ বের করবো : সালমা ওসমান লিপি
- সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১ : আহত ১
- শামীম ওসমান আমার মত শাহ নিজামকেও কিক মেরে বের করে দিবেন
- বক্তাবলী আতংক
আর কতো লাশে বন্ধ হবে টেঁটা যুদ্ধ - ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ কচুরিপানায় পরে মাটি চাপা দিয়ে গুম(ভিডিও)
- দৌঁড়ঝাপ করেও পদ বঞ্চিত এমপি বাবু !
- আত্মগোপেনে নাজিম উদ্দিন, শামীম ওসমানের হুংকার !
- বিয়ের আগেই বাবা হয়েছিলেন নাজিমউদ্দিন!
- সাইনবোর্ডে আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযান, ৩ পতিতাসহ আটক ১০
- ক্রসয়ারের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল পুলিশ, তোলপাড়
- নাইটগার্ডকে তুলে নিল ভিকি !
- রূপগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক