শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হকার ইস্যুতে সেলিম ওসমানের কাছে নগরবাসীর তিন দাবি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান ওমরা হজ্জ পালন করতে গিয়ে পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থান কালে শুক্রবার রাতে টেলিফোনে বলেছেন, আগামী কুরবানীর ঈদ পর্যন্ত হকাররা হলিডে মার্কেট হিসাবে নবাব সলিমুল্লা সড়কে বসবেন বলে তার সাথে লিখিত অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু এখন তারা সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধু সড়কে বসছে। ফলে তিনি এখন খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হয়েছেন।

 

 

তিনি চরম হতাশা প্রকাশ করে নগরবাসীর কাছে জানতে চেয়েছেন এখন তিনি কি করবেন? শুক্রবার রাতে সেলিম ওসমানের এই বক্তব্য বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় এবং গতকাল লোকাল পত্রিকায় প্রকাশ হলে নারায়ণগঞ্জ শহরের সাধারন মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে সেলিম ওসমান এমপিকে পরামর্শ দেন।

 

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সেলিম ওসমানের হাতে এখনো করার মতো অনেক কিছুই আছে। যেহেতু হকাররা তার ভালোবাসার কোনো মূল্য না দিয়ে রীতিমতো তাকে অপমানজনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। ওরা সেলিম ওসমান এমপিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। তাই তার উচিৎ সবার আগে নগরবাসীর অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে এখন কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা।

 

 

নগরবাসী বলেন হকারদের আর কোনো রকম প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই। তাই সেলিম ওসমান এমপি তার নিজের এলাকার জনগনের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইলে চীরতরে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে এই হকার নামধারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে হবে। তার জন্য তাকে মূলত তিনটি কাজ কার করতে হবে নগরবাসী মনে করেন।

 

 

গতকাল এই শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সাধারন মানুষের সাথে আলাপকালে তারা সেলিম ওসমান এমপির কাছে তিনটি দাবি জানান ১) এ বিষয়ে সেলিম ওসমান তার অবস্থান তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন ২) এরপরেও হকাররা তার কথা না শুনলে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের সর্ব স্থরের জনগনকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে পারেন।

 

 

কারন তিনি ডাক দিলে সর্ব স্থরের মানুষ মাঠে নেমে আসবে। ৩) তিনি এই বিষয়টি জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারেন। কারন নারায়ণগঞ্জের জনগনের স্বার্থের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন মোটেও আন্তরিক নয় বলেই এখন মানুষ মনে করেন। তাই তিনি জাতীয় সংসদে এই বিষয়টি তুলে ধরলে পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে যাবে বলে আমরা বিশ^াস করি। কেনোনা এমপির নির্বাচনী এলাকার সমস্যা সংসদে তুলে ধরার দায়িত্বও তার।

 

 

এক কথায় জনগন মনে করেন সেলিম ওসমান যদি শক্ত হোন তাহলে এই শহওে হকাররা এক ঘন্টাও টিকতে পারবে না। কেনোনা লাখ লাখ জনগনকে মাত্র শহস্রাধিক হকার একেবারে বিক্ষুব্দ করে তুলেছে।

 


প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের নিজের নির্বাচনী এলাকা হলো এই নারায়ণগঞ্জ শহর। তাই এই শহরের জনগন তার তৎপরতায় আশাবাদী হয়ে উঠেছিলো। আর সেলিম ওসমান হকারদের মানবিক দিকটাকে আমলে নিয়ে ওদের জন্য একটা ভালো কিছু করার চেষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু এই শহরে বহিরাগত হকাররা এতোটাই বেপরোয় এবং উচ্ছৃংখল যে তারা সেলিম ওসমান এমপির সহানুভুতিকে দূর্বলতা হিসাবে দিখেছে।

 

 

যার ফলে তারা সেলিম ওসমানের সাথে লিখিত অঙ্গীকার করেও তা মানছে না। এতে হতাশ ও অপমান বোধ করছেন সেলিম ওসমান এমপি। এখণ তিনি দেশে ফিরার পর কি করেন সেদিকেই তাকিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জের সর্ব স্থরের সাধারন মানুষ।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর