শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অবৈধ স্ট্যান্ডে সয়লাব শহর; নেপথ্যে চাঁদাবাজি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২২  


 # অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে আমাদের অভিযান অব্যাহত : এডি. এসপি ট্রাফিক

 

একদিকে হকারদের দখলে ফুটপাত অন্যদিকে চাঁদাবাজদের দখলে শহরের অলিগলি।  নারায়ণগঞ্জবাসীর এ দুঃখ দেখার যেনো কেউ নেই।  নারায়ণগঞ্জবাসী এক অদৃশ্য শক্তির হাতে বন্দী। চাঁদাবাজরা দৃশ্যমান হলেও তাদের অদৃশ্য বলার কারণ হচ্ছে তাদের যেনো দেখেও কেউ দেখেনা।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই লেনের রাস্তার ২ পাশেই একাধিক লেন করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে কোনো মতে অবশিষ্ট ১ লেন দিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এমনকি ঘটছে, ছোট বড় দুর্ঘটনা।

 

 

নগরীর ২ নং রেলগেইট হতে দেওভোগ মাদ্রাসা হয়ে ভোলাইল পর্যন্ত অবৈধ স্ট্যান্ড যেনো এলাকাবাসীর গলার কাঁটা। এমনিতেই সরু রাস্তা, তার উপর রাস্তার দুই পাশেই গাড়ি পার্ক করে স্ট্যান্ড বানিয়ে রাস্তা আরো সরু করে ফেলা হয়েছে। যার কারণে যানজট সহ আরো নানান অসুবিধা হলেও মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থের জন্য সামগ্রিকভাবে শহরবাসীকে অসুবিধায় ফেলা হচ্ছে।

 

 

শুধু তাই নয়, ২ নং রেলগেইটে এলাকায় ফজর আলি ট্রেড সেন্টার এর সামনে এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ও অবৈধ ভাবে অস্থায়ী স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এছাড়াও কালির বাজার, চাষাড়া, গলাচিপা, নিতাইগঞ্জ সহ প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে। এমনকি সিটি কর্পোরেশন এর পাশেও অবৈধ স্ট্যান্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

 

 

শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা এসব স্ট্যান্ড উচ্ছেদে তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়ায়; ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরবাসী।  হাবিব নামের ২ নং গেটের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রশাসনের উপস্থিতিতেই যত্রতত্র বসিয়ে দেয়া হচ্ছে স্ট্যান্ড। অথচ প্রশাসন এসব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেনা। মনে হয় চোখে কাঠের চশমা পড়ে আছে, এসব তারা দেখবে কিভাবে।

 

 

কারণ কাঠের মধ্যে দিয়ে তো তারা কিছু দেখতে পারবেনা। তাদের কাছে কাঠের চশমা হলো টাকার চশমা। টাকার চশমা পরলেও কিছু দেখা যায় না। কারন দিন শেষে তারাও এর ভাগ পায়।  সফিক নামের আরেকজন জানান, রাস্তা এমনিতেই সরু। তারমধ্যে আবার রাস্তা দখল করে স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। এতে করে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি পোহায় সাধারণ মানুষ।

 

 

শহরের এসব অস্থায়ী অবৈধ স্ট্যান্ড সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর বাজার কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগের চিন্তাকে জানান, ১নং রেলগেইট, মেট্রো হল, রাইফেল ক্লাব, জিমখানা সহ মুষ্টিমেয় স্ট্যান্ড বৈধ হলেও শহরের অধিকাংশ স্ট্যান্ড ই অবৈধ। এসব স্ট্যান্ড  কিছুদিন পরপর উচ্ছেদ করা হলেও আবার তারা আগের মতোই বানিয়ে ফেলে। আমরা আগামী সপ্তাহে আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।

 

 

এই ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সোহান সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা শহরে অবৈধ অটো ও ইজিবাইক প্রবেশ রোধে কাজ করছি। আজ ও প্রায় শতাধিক গাড়ি আটক করেছি। আমরা এসব অবৈধ অটো স্ট্যান্ড এর সম্পর্কে অবগত আছি। আমরা কিছুদিন পর পর অভিযান পরিচালনা করি।

 

 

কিন্তু অভিযান শেষ হলে আবার ও তারা স্ট্যান্ড বসায়। আমাদের লোক স্বল্পতার কারনে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছিনা। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এসব নিয়ন্ত্রণের।’

 

 

 তবে শহরবাসী বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ভাষ্য মতে, প্রশাসনের যোগসাজসে না থাকলে এসব কেউ করতে পারবেনা। তারা এসব অনিয়ম এর দ্রুত সমাধান চান। এন,এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর