কাশেম রাজাকার হত্যার পর গোদনাইলে রাজাকারদের অত্যাচার বন্ধ হয়েছিল
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ সাউদ
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। একাত্তরে এই ডিসেম্বর মাসেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানীদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। নতুন প্রজন্মকে মহান যুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরার জন্য এই বিজয়ের মাসে ‘দৈনিক যুগের চিন্তায়’ একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশনের কাহিনী তুলে ধরা হবে। আজ ছাপা হলো সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ সাউদের একটি অপারেশনের কাহিনী।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক অপারশন করেছি। কিন্তু একটি অপারেশনের স্মৃতি আমি কখনোই ভুলতে পারিনা। অপারেশনটি ছিল আদমজী এমডব্লিউ স্কুলের সামনে তখনকার দুর্ধর্ষ রাজাকার ‘কাইশ্যা চোরা রাজাকার’ (কাশেম চোর) কে হত্যা করা।
সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এ অপারেশনটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অপারেশনের পর আমাদের গোদনাইল, আদমজী, সিদ্দিরগঞ্জ এলাকায় রাজকারদের অত্যাচার অনেক কমে গিয়েছিল। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেয়া অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।
একাত্তর সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশের পর আমি আরো কয়েকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল গ্রাম থেকে ভারতের আগরতলায় চলে যাই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য। সেখান থেকে ফিরে এসে এলাকায় পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশন শুরু করি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এলাকায় কাশেম নামে এক চোর ছিল যাকে সবাই ‘কাইশ্যা চোরা’ বলতো। সেই কাশেম পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে রাজাকার হয়ে এলাকায় অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। সে আদমজীর বিহারীদের নিয়ে এলাকায় নানান ভাবে একটি ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছিল।
সে পাকিস্তানিদের সাথে আদমজী মিলের ভিতরে রাজাকার ক্যাম্পে থাকতো। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অন্য রাজাকারদের নিয়ে এলাকায় চাষের রাজত্ব কায়েম করেছিল। যখন তখন বিভিন্ন লোকের বাড়িতে গিয়ে হানা দেয়া লুটপাট করা ছিল তার কাজ। সে এলাকার লোকজনকে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিত।
এলাকার বিশিষ্ট ট্যাংকলরী ব্যবসায়ী আবদুল জাব্বারকে পাকিস্তান আর্মির হাতে ধরিয়ে দেয়। এছাড়ারও মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মোল্লাকে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এ জন্য আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধারা এলাকায় ছিলাম তারা প্রকাশ্যে চলাচল করতে পারতাম না এবং আমাদের বাড়িঘরে যেকোনো সময় গিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল।
একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এই রাজাকারকে প্রতিহত করতে না পারলে এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশন করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাশেম রাজাকার আদমজী মিলের ভিতর থেকে মাঝে মাঝে বেরিয়ে এমডব্লিউ স্কুলের কাছে বাজার করতে আসতো। সেখানে তখন একটি বাজার বসতো কারণ বিহারীদের অত্যাচারের কারণে সোনা মিয়া বাজারে তখন কোন বাজার বসতে পারত না।
কাশেম রাজাকার সেই বাজারে মাঝে মাঝে আসতো বাজার করতে। একদিন আমি এবং আমাদের দলের আরেক মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম কেতা মিলে কাশেম রাজাকারকে হত্যার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা দুই তিন দিন তাকে ফলো করেও বাজারে পাইনি।
প্রথম দিন আমরা অস্ত্র নিয়ে আসে পাশে ঘোরাফেরা করি, কিন্তু সেই দিন সে বাজার করতে আসেনি। এভাবে দুইদিন ব্যর্থ হয়ে একটু হতাশ হয়ে পড়লাম। এভাবে কয়েকদিন চেষ্টার পর একদিন হঠাৎ তাকে পেয়ে গেলাম। আমরা সকালেই আমাদের গোদনাইল এলাকা থেকে দুটি স্টেনগান নিয়ে আমি ও তাজুল ইসলাম চাদর গায়ে দিয়ে চাদরে স্টেনগান ঢেকে এম ডব্লিউ স্কুলের সামনে গিয়ে ওত পেতে থাকলাম।
ঠিক সেদিন কাশেম রাজাকার আদমজী মিল থেকে বেরিয়ে এসে বাজার করতে আসে। সে আমাদের দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা কোন সুযোগ না দিয়ে চাদর খুলে স্টেনগান বের করে তার দিকে ব্রাশফায়ার করলাম।
কাশেম রাজাকারের শরীরে গুলি লাগার পরপরই সে লুটিয়ে পড়লো রাস্তার উপর। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার শরীর নিথর হয়ে পড়ে রইলো। রক্তে ভেসে গেল রাস্তা। গুলির শব্দ শুনে বাজারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে যে যেদিকে পারলো পালিয়ে যেতে শুরু করলো। আমরা তাকিয়ে দেখি আশেপাশে কেউ নেই।
আমরা স্টেনগান আবার চাদরের ভিতরে লুকিয়ে পশ্চিমদিকে হেঁটে স্কুলের পশ্চিম দিকে রাস্তা ধরে গ্রামের দিকে হাটতে থাকি। পরে জালকুড়ি গ্রামে চলে যাই।আমরা চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানি আর্মিরা এসে অত্যাচার করবে এই ভয়ে-আতঙ্কে এলাকার সব লোক এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
কাশেম রাজাকারকে হত্যার পরে এ এলাকায় আর কোন রাজাকার সাহস পায়নি কোনো বাড়িঘরে গিয়ে অত্যাচার করতে বা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নিতে। আমরা এই অপারেশন করার পর অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম।
তারপর এলাকায় এক ধরনের শান্তি ফিরে এসেছিল কারণ আর কোন রাজাকার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করা, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য খোঁজখবর নেয়ার সাহস পায়নি। আমরা এরপর আরো কিছু অপারেশন করেছিলাম কিন্তু সেই সময় কাশেম রাজাকারকে হত্যা করার অপারেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এস.এ/জেসি
- আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে অধিকার আদায় করতে শিখেছি : সাউদ নুর
- শামীমকে খুশি করতে আইভীকে আক্রমন
- ঝুট সন্ত্রাসী অনিক বাহিনী বেপরোয়া
- গর্জন দিয়ে নীরব
- চেয়ার চায় রাজাকারের উত্তরসূরি
- সদরে নির্বাচন না হলে লাভ কার?
- বন্দরে খেলারামদের খেলা শুরু
- রাত ৮টার পর সকল মাকের্ট ও দোকান বন্ধ ঘোষণা
- গ্যাস কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ!
- তীব্র তাপদাহে দিনমজুর শ্রমিকরা খুঁজছেন শীতল প্রহর
- তীব্র তাপে রাস্তা-ঘাট শূন্য
- ফতুল্লার গাবতলীর মোফাজ্জলে পরিত্যাক্ত বাড়ি মাদকের হাট
- “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর” সুপেয় পানি বিতরণ
- নৌপথে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পদের মালিক চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার
- ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির ঈদ পূর্নমিলন অনুষ্ঠান
- শেখ রাসেল পার্ককে পতিতালয় বলায় বিক্ষুব্ধ না.গঞ্জবাসী
- স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কুপোকাত মাকসুদ
- উপজেলা নির্বাচনে উধাও তৈমুরের তৃণমূল বিএনপি
- তাহলে এই নাটকের মানে কী?
- কেউ জানে না কোন কিছু
- কাঁচপুর থেকে মেঘনা অরক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ইউপি সদস্য নার্গিস আক্তারের স্বামীর মৃত্যুতে সাবেক এমপি খোকার শোক
- বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসুল্লিরা
- প্রখর রোদেও থেমে নেই রিকশার প্যাডেল
- মারাত্মক অনিয়মে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে
- “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর” সুপেয় পানি বিতরণ
- বড় রাজুর শেল্টারে সাল্লু-হীরা
- হিরণে ধ্বংসের পথে বন্দর উপজেলা বিএনপি
- ‘সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিজয়ী হবো’
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- এমপির সন্তান হুইপের আত্মীয়রাই ফ্যাক্টর
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- সুফিয়ানকে চাপে ফেলার কৌশল
- পরিত্যক্ত গুদামে যুবকের লাশ
- তাহলে এই নাটকের মানে কী?
- আইভীকে হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্ধ আ.লীগ
- অনলাইনে কালামের মনোনয়নপত্র জমা
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম
- সোনারগাঁ-রূপগঞ্জ নির্বাচনে আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- প্রফুল্ল আজাদ-নাজিম
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- বন্দরে অবশেষে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান
- আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা
- একজন নুরুজ্জামান খাঁনের অপেক্ষায় রূপগঞ্জবাসী
- ‘এই গরমে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ’
- খোকাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- সিঙাড়া ৫০ পয়সা, পরোটা এক টাকা!
- কত টাকা লাগবে হেলিকপ্টার ভাড়া করতে ?
- এক টুকরো মাংস না পাওয়া দু’ভাই এবার সবচেয়ে বড় গরুটি কোরবানি দিচ্ছে
- ৫ম উপজেলা নির্বাচন : কখন, কোথায়
- লাশের গলায় চিরকুটে লেখা ‘আমি ধর্ষক’
- বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ, ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে বললেন পার্থ
- কে এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই!
- ঢাবির ভাইরাল হওয়া ছবিটি বাবা-ছেলের নয়
- পাঁচ ঘন্টায় পাসপোর্ট পাওয়া যাবে উন্নয়ন মেলায় !
- প্রথমে স্বামীর দুই পা কাটে, পরে দুই হাত কেটে মাথাও বিচ্ছিন্ন করে
- অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাচনে ইব্রাহিম চেঙ্গিসের ভরাডুবি
- একটি ইলিশের দাম ১০ হাজার ৩শ টাকা !
- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করলেন সোহেল তাজ
- নির্যাতিত রোকসানা যেনো একটি জীবন্ত কঙ্কাল