শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নৌ পুলিশকে টাকা দিয়ে চলছে যাত্রীবাহী ট্রলার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

 

সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নৌ-পুলিশের সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে অনেক রুটেই চলছে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে যেন কোন সময়ে ট্রলার ডুবির ফলে ঘটতে পারে ব্যাপক প্রান হানির ঘটনা। সম্প্রতি শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জ রুটে চলাচলরত একটি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ব্যাপক প্রানহানীরও ঘটনা ঘটেছিলো।


সরজমিনে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌ ফাড়িঁর তদন্তের দায়িত্বে থাকা মো.গোলাম মোস্তফাকে টাকা দিয়ে খেয়াঘাটের পাশ থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে শম্ভুপুরা রুটে প্রতিদিন একটি যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করছে। এ জন্য তাকে মাসে ২০ হাজার টাকা প্রদান করছে চলাচলকারী ট্রলারের মালিক। সেখানে গিয়ে যাত্রীবাহী ও মাছবাহী ট্রলার চালকদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক মাঝি জানান,মোস্তফা স্যারকে টাকা দিয়ে অনেকেই সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ট্রলার চালাচ্ছে।

 

আবার রাতে বা ভোরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মাছবাহী ট্রলারের মাঝিদের কাছ থেকে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা আদায় করছে মোস্তফা স্যার। যদি কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে তাহলে তাদেরকে মামলার ভয় কিংবা ট্রলার আটক করে রাখার হুমকী দেন। চৈত্র মাসে ল্যাংটা মেলাতেও ট্রলার প্রতি ৩/৪ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ৫০টি ট্রলার যাত্রী নিয়ে বেলতলীতে যাতায়াত করেছিলো। বর্তমানে বিভিন্ন রুটে তাকে টাকা দিয়ে অনেকটাই ঝুকি নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলো চলাচল করছে।


এবিষয়ে মো. গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন,আমি টাকা নিয়ে এসব করি কেউ কিছু বলতে পারবেনা। কারন নদীতে এসকল ট্রলার বা ৬০ ফুটের নিচে কোন নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। সেখানে কিভাবে এ কাজ সম্ভব। জাটকা নিধনের সময় কিছু ট্রলার আটক করা হয়েছিলো। আমার সর্ম্পকে যে সকল মাঝি এমন কথা বলেছে তাদের জন্মের কোন ঠিক নাই।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর