শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শহরে ডেঙ্গুমুক্ত সফলতায় নাসিকের শক্তিশালী টিম

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নারায়ণগঞ্জের পাশেই রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকলেও এখানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পুরো জেলায় এ পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা নেই। দেশের এই ধনী জেলায় প্রায় ৭০ লাখ লোকের বসবাস । তার অর্ধেকই বাস করে নারায়ণঞ্জ সিটিতে। নাসিক গণবসতি হওয়া সত্ত্বেও এখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যবিদরা।

 

যেখানে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপের খবর আসছে তখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন রয়েছে ডেঙ্গু মুক্ত। এই সফলাতর জন্য কাজ করেছে নাসিক মশক নিধন টিম। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখার জন্য নাসিকের এই মশক নিধন টিম মেয়রের নির্দেশে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

 


সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে মেয়র আইভী আরো অনেক আগে থেকেই সজাগ রয়েছেন। বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তিনি সারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিধনের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য নাসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থায়ী ভাবে ৫ জনের একটি টিম করে দিয়েছে। এছাড়া স্পেশাল ভাবে ৪০ জন নিয়ে আলাদা একটি মশক নিধন টিম আছে। যারা ডেঙ্গু মশার উৎপাদন স্থল ধ্বংস করার জন্য প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে।এই মশক নিধন টিমের নেতৃত্বে আছেন নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ।

 


এদিকে নাসিকের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গু ইস্যু নিয়ে দুই একটি পত্রপত্রিকায় মেয়রকে ইঙ্গিত করে বিভ্রান্তমুলক তথ্য প্রকাশ করা হয়। যা নগরবাসী তাদের বিভ্রান্ত তথ্যের দিকে তাকানও না। মানুষ ইতিমধ্যে মেয়রর অনেক সফল কাজ দেখেছে। আরো দেখতে পাবে। নগরবাসি মনে করেন এই ধরনের ভূল তথ্য প্রচারে মেয়রের জনপ্রিয়তায় কোন ধরণের প্রভাব ফেলতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হীরণ বলেন, বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকে এডিস মশা দমনে মেয়র আইভীর কড়া নির্দেশ ছিলো। মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক আমরা শুরু থেকেই এডিস মশা যাতে জন্মাতেই না পারে সেদিকে জোর দিয়েছি। মেয়রের একটাই কথা নগরবাসিকে মশা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। আমাদের মশক নিধন টিম তার এ বাস্তবায়নের জন্য সকাল বিকেল পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

 

নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডে ৫ জন করে ১৩৫ জনের একটি টিম করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে স্পেশাল ভাবে ৪০ জন  কাজ করে যাচ্ছে। ডেঙ্গু মশা উৎপাদন প্রতিরোধে আমরা ৩ ধরনের ঔষধ ব্যবহার করছি। তা হলো লাইট ডিজেল ওয়েল, এডাল টি সাইড,টেলিপস পঞ্চাশ ইসি। ৩শ’ হ্যান্ড মেশিন এবং ৬০ টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে এই ওষধ দেয়া হয়। কিন্তু গত বছর ১৫ টা ফগার মেশিন ছিল।এ বছর নতুন ভাবে ৪৫ ক্রয় করে তা বারানো হয়। তার একটাই উদ্দেশ্য নগরবাসিকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখা।

 


তিনি আরও জানান, এডিস মশা ডিম পারে কোনো ছোটো খাটো পাত্রে জমে থাকা বৃষ্টির পরিস্কার পানিতে। ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের পাত্র বা অন্য কোনো পাত্র বা যেখানে বৃষ্টির পানি জমতে পারে সেগুলি প্রায় প্রতিদিনই পরিস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন বাড়ির যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তা পরিস্কার করা হচ্ছে। আমাদের পাশা পাশি জনগণও সচেতন হয়েছে। তারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। তাই এবার নগরবাসীকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখা সম্ভভ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া বারো মাসই মশক নিধনের কড়া নির্দেশ রয়েছে মেয়রের। যার সুফল পাচ্ছে নগরবাসী এদিকে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়। মশার বংশকে নিরবংশ করার মাধ্যমে মশার অত্যাচার থেকে নগরবাসিকে স্বস্থিতে রাখতে চাই।

 


নাসিক প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ বিভা হাসান বলেন, নারায়গঞ্জে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তেমন একটা নেই। আর না থাকার কারণ হচ্ছে এখানে নাসিকের অভিযানের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ বা ‘চিরুণি অভিযান’ চালানো হয়। নগরবাসিকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখাই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য। আমরা তা পেরেছিও। এদিকে শহরকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখায় নগরবাসি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন। এই সফলতা যেন ধরে রাখতে পারে এই কামনা করেন।

এই বিভাগের আরো খবর