শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হকার ইস্যুতে নীরব শামীম-আইভী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

 

হকার ইস্যুতে ব্যাকফুটে রয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান আর একেবারেই চুপচাপ এমপি শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী। শহরের ফুটপাতকে হকারমুক্ত করতে সেলিম ওসমান এককভাবে মঠে কাজ করছেন। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও পুরোপুরি সফল হতে পারছেন না। এ নিয়ে তার কণ্ঠে অনুযোগের সুর ফুটে উঠছে, ‘ হকাররা এতো সাহস কোথা থেকে পাচ্ছে, তাদেরকে ইন্ধন দিচ্ছে কারা, কোন শক্তির বলে তারা প্রশাসনকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মতো সাহস পাচ্ছে!’

 

পত্রিকান্তরে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের পর হকারদের তথাকথিত নেতা হাফিজুল ইসলামকেও এখন আর তাদের সাথে মিটিং মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে না। শোনা যায়, হকারদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানের ছবি পত্রিকায় প্রকাশের পর তাকে নিয়ে চারদিকে নানামুখি সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কের মুখে পড়ে হাফিজুল ইসলামের প্রশাসন বিরোধী কার্যক্রম। এসব কারণে তিনি আপাতত হকার ইস্যু থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেন। নেতৃত্বশূন্য হকাররা কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও ফের যুদ্ধংদেহীরূপে ফুটপাত দখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশ প্রশাসনও তাদের এই মারমুখি আচরণের কাছে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ কর ফেলে। 

অপরদিকে ফুটপাতের হকার উচ্ছেদ নিয়ে উঠতে বসতে যার মুখে খই ফুটতো যিনি সর্বদা গরম গরম ভাষণ ঝারতেন, সেই তিনি অর্থাৎ মেয়র আইভীও চোখ আর কানে তালা মেরে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকলেন। সেলিম ওসমান যখন মেয়র আইভীকে হকারদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বললেন তখনও তিনি চুপচাপই থাকলেন। কিন্তু আইভী যাকে হকারদের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে আকারে ইঙ্গিতে নানারকম কথা বলতেন, সেই তিনি অর্থাৎ এমপি শামীম ওসমানও এ প্রসঙ্গে কোন কথা বলছেন না।

 

এখন তো প্রশ্ন ওঠা স্বভাবিক, গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটা কি শুধুই লোকদেখানোর বৈঠক ছিলো? নয়তো হকার প্রসঙ্গ নিয়ে মেয়রের সাথে অন্য পক্ষের সম্পর্কের ফাটল ধরলো কেনো! এ ক্ষেত্রে কি মেয়রের কোন কিছুই করার নেই বা ছিলো না! প্রেসক্লাবের ওই বৈঠকের পর থেকেই রহস্যজনক কারণে মেয়র আইভী হাত-পা ছেড়ে দিয়ে হকারদের তামাশা দেখছেন। তিনি ভুলে গেলেন, এই হকার ইস্যুতেই তাকে প্রকাশ্য রাস্তায় নাজেহাল হতে হয়েছে, শারীরিকভাবে পিটুনি খেতে হয়েছে। এখন যখন বদলা নেয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তখন তিনি এর সদ্ব্যবহার না করে মজা দেখেছেন কেনো! 

 

সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, হকাররা সহজে হার মানবে না। তারা ফুটপাত ছেড়ে হকার মার্কেট কিংবা তাদের জন্য নির্ধারণ করা স্থানে বসবে না। সামনেই ঈদ। নিম্নবিত্তরা ফুটপাতের পসরাতেই ছুটে আসবে। আর এ সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইবে হকাররা। আর কোন ছুঁতায় যদি একবার ফুটপাত দখল করতে পারে তবে আর তাদেরকে সহজে উচ্ছেদ করা যাবে না বলে মনে করেন বোদ্ধামহল। এস.এ/জেসি            

এই বিভাগের আরো খবর