শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

৪৫ লাখ টাকাতেও ভোগান্তিতে নগরবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জ শহর শান্তিতে চলাফেলা করার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জন্য নিজ ফান্ড থেকে ১০ লাখ, বিকেএমইএ থেকে ২৫ লাখ ও চেম্বার থেকে ১০ লক্ষ টাকা, মোট ৪৫ লাখ টাকা প্রদান করেছেন।

 

 

যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা বেশি। পবিত্র রমজানে শহরেবাসীর যাতে কোন ধরনের যানজটে না পরে সেই লক্ষ্যে প্রায় একশ জন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করেন, যারা প্রতিটি মহল্লা ও গলির মাথায় ডিউটি করতো। যাতে করে শহরে অটো বা ব্যাটারি চালিত কোন গাড়ি মুল সড়কে প্রবেশ না করে।

 


কিন্তু এবার রমজানের প্রতিবারের মত করেই কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করা হয় । তবে এবার সেটা অনেকটা লুকোচুরির মত করে করা হয়। কিন্তু রমজানের প্রথমে শহর কিছু দিন ফাঁকা থাকলেও বর্তমানে আবার প্রবেশ করেছে সকল ধরনের অবৈধ অটো রিক্সা ও ব্যাটারি চালিত গাড়ি।  সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য শহরে সেলিম ওসমানের টাকায় নিয়োগ দেওয়ার পর এসব কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের তাদের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নগরবাসীর !

 


শহরের মেট্রো হল, ঈদগাহ মাঠ, ও মন্ডলপাড়া এলাকায় ডিউটি পালন করতে দেখা যায় বেশ কিছু কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের। সেখান সরেজমিনে দেখা যায়, তারা নিজেরা বসে গল্প করছে ও কিছু গাড়িতে বাধা দিলেও বাকিরা নিজেদের ইচ্ছে মত শহরের প্রবেশ করছে। চাষাড়া পুলিশ বক্স এর সামনেই দেখা মিলে সারিসারি অটো রিক্স্রা ও অটো গাড়ির।

 

 

বর্তমানে পায়ে চালিত রিক্সার থেকে অনেকটা বেশি বীরদর্পে শহরে ঘুরে বেরাচ্ছে সে সব অবৈধ পরিবহনগুলো। এছাড়া অভিযোগ আছে এতোকিছুর পরও থেমে নেই ট্রাফিক পুলিশের অটো বাণিজ্য ।প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরা হচ্ছে অটোরিক্স্রা। যা আবার রেকার বিল এর নামে ৫শ  থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে দেওয়া হয়না রেকার বিল এর রশিদ এর কপি। যা চলে যায় কতিপয় ব্যক্তির পকেটে।

 


শহরের চাষাড়ায় রফিক নামে এক পথচারী বলেন, এমপি সেলিম ওসমান সাহেব ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছে যাতে শহরের কোন ধরনের ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু চাষাড়া মোড়ে এখনো অটোস্ট্যান্ড হয়ে আছে যার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই রোজার প্রথমে যেমন ফাঁকা ছিলো শহর তেমনি করে যাতে বাকি দিনগুলোতে শহরবাসী সুন্দরভাবে চলাফেরা করতে পারে।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি