সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

প্রবাসী চাচাতো ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪  

 

সৌদি আরব প্রবাসী চাচাতো ভাইকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে যুবক। শুক্রবার মেঘনা উপজেলার নদী বেষ্টিত চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকার থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

নিহতের নাম আল আমিন (৪২)। সে সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মেঘনা থানার ওসি। ঘটনার পর শুক্রবার সকালে হত্যাকান্ডে জড়িত সুজন মিয়াকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় মেঘনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

নিহত আল আমিনের ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সুজন মিয়ার সাথে তার আপন চাচাতো ভাই আল আমিনের পূর্ব শত্রুতা ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আল আমিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে প্রবাসী আল আমিনকে ডেকে নিয়ে যায় ঘাতক সুজন মিয়া।

 

মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন চরে বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার পর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে থেঁতলে হত্যা করে প্রবাসীকে। হত্যার পর ঘাতক সুজন মিয়া বাড়ি ফিরে আসে। তার কাছে আল আমিনের কথা জানতে চাইলে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আল আমিন পালিয়ে গেছে বলে বাড়ির সকলের জানিয়েছেন। তার কথা বার্তা অসংলগ্ন হওয়ার সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের। তাকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে আটক করে সোনারগাঁ থানায় সোপর্দ করা হয়।

 

পরে তার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী প্রবাসীর লাশ চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর চরে খুঁজে পান তার পরিবার। লাশ পাওয়ার পর মেঘনা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মেঘনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।  

 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুজন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলে তাকে সেখানে হন্তান্তর করা হবে। মেঘনা থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) দেলায়ার হোসেন বলেন, প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শনিবার ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। লাশের পাশ থেকে বিরিয়ানীর প্যাকেট ও কোমল পানীর বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এস.এ/জেসি