শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আইনজীবী-ডাক্তারদের রসিদ প্রদানের সুপারিশ দুদকের

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

# রাষ্ট্রের রাজস্ব ও পেশার স্বচ্ছাতার জন্য এটা প্রয়োজন- সাখাওয়াত হোসেন খান


# দুদক কিছু করলেই আমাদের মানতো হবে এমন কিছুনা- আনিছুর রহমান দীপু


# চোখের আড়ালেই অনেক লেনদেন হয়- ডা. আবুল বাশার



সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে চিকিৎসক ও আইনজীবীরা যে অর্থ (ফি) নেন, তার রসিদ যেন দেওয়া হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিকিৎসক ও আইনজীবীদের যথাযথভাবে করের আওতায় আনতে সম্প্রতি দুদকের পক্ষ থেকে সুপারিশ করে এনবিআর চেয়রম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।



নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী ও ডাক্তাররা বলছেন, এই পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত বিনা ফি’তে সেবা দিয়ে থাকেন। সেটার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অনেকেই আছেন যারা একজন আইনজীবী ও ডাক্তারের পূর্ণ পারিশ্রমিক প্রদান করতে সক্ষম নয়। নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক ও বর্তমান আইনজীবীরা বলছেন, কেউ কিছু বললেই সেই ভাবে চলতে হবে এমন কোন বিষয় নেই। দুদক কিছু করবে আর সেটা আইনজীবীদের মানতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকাতও নেই।


 
দুদকের এমন সিদ্ধান্তের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ বার কাউন্সিলের সভাকে সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান। যুগের চিন্তার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধি ও এই পেশার মানুষদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য রসিদের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণে দুদকের এমন সুপারিশ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
 


এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দীপু জানিয়েছেন, যুগ যুগ ধরে আইনজীবীরা যেভাবে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসতেছে সেভাবেই চলবে। আইনজীবীরা অনেক সময় ভলেন্টিয়ার সার্ভিস প্রদান করে থাকে। সেখানে রশিদের বিষয়টা কী? সেখানেতো রশিদের কোন বিষয় থাকেনা। এটা দুদকের বেপার। তারা বলতেই পারে।


 
তিনি আরো বলেন, ‘আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী আমরা কাজ করে থাকি; নিয়মের বাহিরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। নতুন কিছু করতে হলে অবশ্যই আইন পাশ করতে হবে। কেউ কিছু বললেই সেটা চলবে না। আমাদের ফি’র রশিদ দিতে হবে এমন কোন বিষয় নেই। দুদক কোন কিছু করলেই সেটা আমাদের মানতো হবে এমন কিছুনা, তেমন বাধ্যবধকতা নেই।’


 
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার মোবাইল ফোনে যুগের চিন্তাকে জানিয়েছেন, ডাক্তারগণ কি পরিমাণ চিকিৎসা ফি গ্রহণ করবে এমন কোন নীতিমালা এখনো প্রস্তুত করতে পারেনি সরকার। বর্তমান সময়ে এমন অনেকেই আছেন যারা পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে ডাক্তারী অনুশিলন করে থাকে। সেটা নির্মুল বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার।


 
তিনি বলেন, আয়করের স্বচ্ছতার জন্য দুদক এমন চিন্তা করে থাকতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও সরকার ডাক্তারদের স্বার্থ বিবেচনা করে এবং জন সাধারণের হয়রানী ও চিকিৎসা ব্যায়ের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। আমাদের বিএমএ আছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে। কিছু কিছু দপ্তর আছে যেখানে চোখের আড়ালেই অনেক লেনদেন হয়, যেটা আমরা জানিওনা, কিন্তু ভূক্তভোগী। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কয়টা দপ্তর সেবা দিয়ে থাকে সেটা সকলেই অবগত আছি। আমাদের বিএমএ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে, সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে।

 

এই বিভাগের আরো খবর