শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ডুবেছে শামীম ওসমানের বিশাল এলাকা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২১  

আবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পতিত হয়েছে ফতুল্লার ইসদাইর, গাবতলী, টাগারেরপাড়, লালপুরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। সোমবার রাতের বৃষ্টিতে এসব এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মাঠঘাট, মসজিদ সহ সব কিছু। মানুষের ঘরে ঘরে বৃষ্টির পানি ডুকেছে। ফলে এসব এলাকার প্রায় লাক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগের কবলে পতিত হয়েছে। ওই সব এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, চরমভাবে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ হয়ে পরেছেন। এলাকাটি দাপুটে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এলাকা।

 

এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গোটা এলাকায়ই থৈ থৈ পানি। এলাকাবাসী জানিয়েছে একদিনের কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতেই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে যে ওইসব এলাকায় এখন আর রিকশা যেতে চাইছে না। ইসদাইর বাজারের একটি মসজিতে পানি ঢোকার কারনে ওই মসজিদে মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারছেন না। পানি ঢুকেছে গাবতলীর মসজিদেও। এছাড়া উত্তর মাসদাইর ৭১ নং সরকারী প্রাইমারী স্কুলের মাঠ যেনো একটি পুকুরে পরিণত হয়েছে। ডুবে আছে পাশের রাস্তাও। এতে এলাকাবাসী চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন তারা এমন একজন এমপির এলাকার মানুষ যার দাপটের কথা দেশের সবাই জানে। তিনি হলেন এমপি শামীম ওসমান। তাকে চিনে সবাই। কিন্তু দেশের মানুষ জানে না যে তিনি কথায় বড় হলেও কাজে বড় নন। তিনি সারা জীবন বড় বড় কথাই বলে যাচ্ছেন কিন্তু সুন্দর করে কোনো কাজই করতে পারছেন না। তাই তাদেরকে এভাবে ডুবতে হচ্ছে।

 

এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে গত ৪/৫ বছর ধরেই অত্র এলাকায় এভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা এলেই গোটা এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় এই জলাবদ্ধতা নিয়ে লেখালেখিও হচ্ছে। কিন্তু শামীম ওসমানের টনক নড়ছে না। তিনি কেবল আশার বানি শুনিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে শামীম ওসমান বলেছিলেন তিনি ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য একবার সারে পাঁচশ কোটি এবং আরেকবার সাতশ কোটি টাকা এনেছেন। তাই ডিএনডি এলাকা কেবল জলাবদ্ধতামুক্তই হবে না বরং ডিএনডি হবে সবচেয়ে উন্নত এলাকা। কিন্তু ডিএনডির ফতুল্লা এলাকার মানুষ এর কোনো সুফলই পাচ্ছে না। অত্র এলাকা শামীম ওসমানের নিজের এলাকা হওয়া সত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না। গড়ে তোলা হচ্ছে না পানি নিস্কাশনের কোনো ড্রেন।

 

ফলে প্রতি বছরই চার/পাঁচ মাস এসব এলাকা বৃষ্টির পানির নিচে ডুবে থাকছে এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে, এসব সমস্যা নিয়ে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের কাছে গেলে তারাও কোনো সমাধানের কথা না বলে কেবল অপারগতা প্রকাশ করছে। এছাড়া তারা মেরুদÐহীন হওয়ায় এমপি শামীম ওসমানকেও কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই দিন দিনে পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। শামীম ওসমানের বিশাল এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকছে। যদিও ডিএনডি এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই বিশাল অংঙ্কের টাকার কোনো সুফল পাচ্ছে না। তাদের এমপি শামীম ওসমান সরেজমিন গিয়ে তাদের কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। 

এই বিভাগের আরো খবর