শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পঞ্চাশ লাখ টাকায় আ’লীগ অফিস বিক্রি

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২  

# আঃ মজিদের পর এবার মনা সরদার
# দলীয় কার্যালয় বেচে হজম করার পথে


পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত : দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, দলকে বিকিয়ে দিয়ে ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করতে ইতিপূর্বে দলীয় কার্য্যালয বিক্রি করেছেন মহানগর বিএনপি সহ সভাপতি হাই কমান্ড হিসেবে পরিচিত আঃ মজিদ। এবার ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্য্যালয়টি বেচে দিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র আইভীর মামা হিসেবে পরিচিত মনোয়ার হোসেন মনা সরদার। মেয়র আইভীর বিজয়ে তার অবদান রয়েছে বলে তিনি বলে বেড়ান। আঃ মজিদ ‘মা হোটেলের’ কাছে বিএনপি অফিস বিক্রি করেছেন ২২ লাখ টাকায়। মনা সরদার আওয়ামী লীগ অফিস বিক্রি করলেন ৫০ লাখ টাকায়। ইতিমধ্যে এ বিক্রি নিয়ে শহরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অফিস বিক্রির ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে গেলেও এখনো দলিল সম্পাদন হয়নি। তবে দলিলটি  লেখা হয়ে গেছে। জানা গেছে, আসন্ন মহানগর আওয়ামী লীগ সম্মেলন সম্পন্ন হলে এ দলিল সম্পাদন করা হবে এবং ক্রেতাকে তার দখলও বুঝিয়ে দেয়া হবে।  জানা গেছে, এ দলিলে একটি শর্তযুক্ত করা হয়েছে, ভবিষ্যতে কমিটিতে যে বা যারাই আসুক না কেন এ দলিল ও এ বিক্রি বাতিল করা যাবে না। এ চেষ্টা করলে তা সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য হবে।
ইতিমধ্যে অফিস বিক্রির এ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয়া হয়েছে এবং ব্যাঙ্কে এ টাকা লেনদেনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির তিন জনকে। এরা হলেন, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম রফিক, কোষাধ্যক্ষ রমযান এবং দপ্তর সম্পাদক বাদল। কৌশলগত কারণে ওয়ার্ড সভাপতি মনা সরদার এবং যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম শাকিল স্বেচ্ছায় এ ক্ষমতা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ অফিসের ক্রেতা হলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি তোফাজ্জল হোসেন মুকুল। শহরে যিনি নীট কনসার্ন পরিচালক ও ল্যান্ড মুকুল হিসেবে পরিচিত। তার আরেক পরিচয় তিনি ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম রফিকের ছোট ভাই। জানা গেছে, কমিটির আবদারে ক্রেতা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল কমিটিকে মিষ্টি খেতে ৫০ লাখ টাকার পরে আরও দশ লাখ টাকা দিয়েছেন। ক্রেতা অফিসটি ভেঙ্গে সেখানে চারটি দোকান করবেন, জানতে পেরে মনা সরদার একটি দোকান চেয়ে নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই সে দোকানটি এক হোসিয়ারী ব্যবসায়ীর কাছে ৩৫ লাখ টাকায়  বেচে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিএনপি নেতা আঃ মজিদ বিএনপি অফিস বিক্রির টাকা হজম করে ফেলেছেন। প্রাথমিকভাবে বিএনপি কর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হলেও তারা আঃ মজিদের কিছু করতে পারেনি। এদিকে, মনা সরদারের হজমশক্তিও খুব ভালো। অফিস বিক্রি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে গুঞ্জন থাকলেও নেতারা একেবারে নীরব।
এ ব্যপারে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। ওয়ার্ড অফিস রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব ওয়ার্ড কমিটির। তারা অভিযোগ করলে তিনি দেখবেন।
# আঃ মজিদের পর এবার মনা সরদার
# দলীয় কার্যালয় বেচে হজম করার পথে

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত : দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, দলকে বিকিয়ে দিয়ে ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করতে ইতিপূর্বে দলীয় কার্য্যালয বিক্রি করেছেন মহানগর বিএনপি সহ সভাপতি হাই কমান্ড হিসেবে পরিচিত আঃ মজিদ। এবার ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্য্যালয়টি বেচে দিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র আইভীর মামা হিসেবে পরিচিত মনোয়ার হোসেন মনা সরদার। মেয়র আইভীর বিজয়ে তার অবদান রয়েছে বলে তিনি বলে বেড়ান। আঃ মজিদ ‘মা হোটেলের’ কাছে বিএনপি অফিস বিক্রি করেছেন ২২ লাখ টাকায়। মনা সরদার আওয়ামী লীগ অফিস বিক্রি করলেন ৫০ লাখ টাকায়। ইতিমধ্যে এ বিক্রি নিয়ে শহরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অফিস বিক্রির ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে গেলেও এখনো দলিল সম্পাদন হয়নি। তবে দলিলটি  লেখা হয়ে গেছে। জানা গেছে, আসন্ন মহানগর আওয়ামী লীগ সম্মেলন সম্পন্ন হলে এ দলিল সম্পাদন করা হবে এবং ক্রেতাকে তার দখলও বুঝিয়ে দেয়া হবে।  জানা গেছে, এ দলিলে একটি শর্তযুক্ত করা হয়েছে, ভবিষ্যতে কমিটিতে যে বা যারাই আসুক না কেন এ দলিল ও এ বিক্রি বাতিল করা যাবে না। এ চেষ্টা করলে তা সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য হবে।
ইতিমধ্যে অফিস বিক্রির এ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয়া হয়েছে এবং ব্যাঙ্কে এ টাকা লেনদেনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির তিন জনকে। এরা হলেন, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম রফিক, কোষাধ্যক্ষ রমযান এবং দপ্তর সম্পাদক বাদল। কৌশলগত কারণে ওয়ার্ড সভাপতি মনা সরদার এবং যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম শাকিল স্বেচ্ছায় এ ক্ষমতা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ অফিসের ক্রেতা হলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি তোফাজ্জল হোসেন মুকুল। শহরে যিনি নীট কনসার্ন পরিচালক ও ল্যান্ড মুকুল হিসেবে পরিচিত। তার আরেক পরিচয় তিনি ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম রফিকের ছোট ভাই। জানা গেছে, কমিটির আবদারে ক্রেতা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল কমিটিকে মিষ্টি খেতে ৫০ লাখ টাকার পরে আরও দশ লাখ টাকা দিয়েছেন। ক্রেতা অফিসটি ভেঙ্গে সেখানে চারটি দোকান করবেন, জানতে পেরে মনা সরদার একটি দোকান চেয়ে নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই সে দোকানটি এক হোসিয়ারী ব্যবসায়ীর কাছে ৩৫ লাখ টাকায়  বেচে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিএনপি নেতা আঃ মজিদ বিএনপি অফিস বিক্রির টাকা হজম করে ফেলেছেন। প্রাথমিকভাবে বিএনপি কর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হলেও তারা আঃ মজিদের কিছু করতে পারেনি। এদিকে, মনা সরদারের হজমশক্তিও খুব ভালো। অফিস বিক্রি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে গুঞ্জন থাকলেও নেতারা একেবারে নীরব।
এ ব্যপারে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। ওয়ার্ড অফিস রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব ওয়ার্ড কমিটির। তারা অভিযোগ করলে তিনি দেখবেন।

এই বিভাগের আরো খবর