শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্দর-কাইকারটেক রাস্তার বেহাল দশা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময়। এখন মানুষ চুলচেরা বিশ্লেষণ করা শুরু করেছে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের কর্মকাণ্ড। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা ইউপি নির্বাচনের বিভিন্ন পদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা জনগণের কাছে কীভাবে গিয়ে দাঁড়াবে কী ধরণের প্রতিশ্রুতি দিবে তার চর্চা শুরু করে দিয়েছে। এসময়টাতে জনগণও বিপাকে পড়ে যায়।

 

কারণ, অনেককেই তারা ভাল মানুষ হিসেবে নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে সাহায্য করে। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরই যেন তারা যেন কেমন করে পাল্টে যায়। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা জনগণের কত সমস্যা সমাধান করার নতুন কত কিছু করে দেয়ার অঙ্গীকার করে। নির্বাচিত হওয়ার পর যেন ‘যেই লাউ সেই কদু’ হয়ে যায়। তেমনি আশাহত কথা শোনা গেল বন্দর ইউনিয়নবাসীর মুখে। তাদের এখানকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান রাস্তা বন্দর খেয়া ঘাট থেকে কাইকারটেকের রাস্তার বন্দর বাসস্ট্যান্ড (সাবেক বন্দর রেল লাইন) থেকে কাইকারটেক পর্যন্ত পুরো রাস্তাটির বেহাল অবস্থা।

 

এখান দিয়ে মানুষের যাতায়াত করা কতটা কষ্টসাধ্য তা ভূক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না বলে তাদের আক্ষেপ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি সমর্থিত এবং ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ, তাই এখানে কি ধরণের কাজ হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে কীনা তার কাছে গিয়ে যে জিজ্ঞেস করবে এই এলাকার কারো সেই সাহস নাই।


 
বন্দর কলাবাগের আতিকুর রহমান জানান, এই রাস্তাটি সর্বশেষ কত বছর আগে মেরামত হয়েছে তা আমাদের মনেও নেই। অন্তত ৭/৮ বছরের ভিতর এর কোন প্রকার জোরাতালির কাজও করা হয়নি। আমরা কাকে বলবো। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও এই রাস্তার অবস্থার কথা জানে। তারপরও কি কারণে ঠিক করা হচ্ছে না চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো জানা যাবে। অন্তত জোরাতালি দিয়েও যদি রাস্তাটি মেরামত করা হতো তাহলেও কিছুটা শান্তি পেতাম।

 

এ বিষয়ে বন্দর কাজী বাড়ি এলাকার আব্দুল হক জানান, আমাদের বাপ-দাদার আমলে এখানে যখন মাটির রাস্তা আছিল তখনও মনে হয় এর চেয়ে ভাল ছিলাম। তখন এত গাড়ি ঘোড়া ছিল না। রাস্তা ঘাটে কাদা থাকলেও তখন আমরা অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন রাস্তা না আছে কাঁচা না আছে পাকা। অথচ এই রাস্তা দিয়েই এখন এত গাড়ি চলাচল করে যে রাস্তায় বের হওয়াই যায় না। পিছলে পড়ার চেয়েও বেশী ভয় গাড়ির চাকার পানি ছিটকে এসে গায়ে পড়ে যখন জামা কাপড় নষ্ট হয়। আর এই রাস্তা দিয়ে তো কোন রুগীকে নিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। বৃদ্ধ ও শিশুসহ জরুরী সামগ্রী নিয়ে এখান দিয়ে চলাচল করা বেশ কষ্ট সাধ্য হয়। তিনি জানান, এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবতই চলাচলের অযোগ্য, দেশে এত কাজ হয় এই রাস্তাটির কাজ কেন হয় না তা-ই বুঝতে পারি না।
 


এ বিষয়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘এই রাস্তার চৌধুরী বাড়ি এলাকায় প্রায় একহাজার ফুটের মতো মেরামতের কাজ করা হয়েছে। এই রাস্তাটি পুরোটা মেরামত করার মতো এলজিইডিতে ফান্ড নেই। যতটুকু করা হয়েছে তা করতেও দেরী হয়েছে শুধুমাত্র ফান্ড সমস্যার কারণে। দেরী করা হলেও কাজটি ধরা হয়েছে। ঠিকাদাররাতো বিল না পাইলে আর কাজ করবে না। বিল পাইলে হয়তো পরে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত কাজ করা হইবে। সম্পুর্ণ রাস্তার কাজ করার মতো ফান্ড যেহেতু নাই এখন সম্পুর্ণ কাজ করা হবে না।’
 

এই বিভাগের আরো খবর